টেকসই অর্থনীতির জন্য প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে হবে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ১৭:১০

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ও অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, নতুন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা একটি টেকসই অর্থনীতি গড়ে তোলার মধ্যে নিহিত রয়েছে। আর টেকসই অর্থনীতির জন্য প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতি ও রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে হবে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জাতীয় এসডিজি রিপোর্ট (ভিএনআর) ২০২৫ ব্যক্তিখাতের উদ্যোক্তাদের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক ফোকাল পয়েন্ট তারাননুম জিনান।
আমলারা রাজনীতি ও ব্যবসায় জড়িয়ে যাচ্ছেন: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ও সিটিজেনস প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের দেশে আগের চেয়ে অনেক বেশি টেকসই উন্নয়নের ধারণার প্রসার ঘটেছে এবং গভীরতাও বেড়েছে। এ অর্জনটি আমাদের বেসরকারি খাতের অর্জন। এ অর্জন সবসময় সঠিকভাবে মূল্যায়িত হয় না, এটিও ঠিক। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাসটেইনেবলিটির প্রসার ও এর অর্জনের যথেষ্ট স্বীকৃতি নেই। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা এটিকে বিশ্বের কাছে এবং সরকারের নীতি নির্ধারকদের কাছে তুলে ধরতে পারিনি। ফলে এর ব্যবসায়িক অর্জনও অনেকটা সীমিত রয়ে গেছে। ‘আবার বেসরকারি খাতের জন্য উপযুক্ত ব্যবসার পরিবেশ না থাকলে টেকসই ব্যবসা মডেলও তৈরি হবে না। সাসটেইনেবল মডেলকে আরও প্রসার করতে হলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশকে আরও উন্নত করতে হবে এবং সরকারের পক্ষ থেকেও সমর্থন বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে অর্থায়ন সমস্যা, জ্বালানি, সরবরাহ, নিয়ন্ত্রণমূলক হয়রানি ব্যবস্থা ও শ্রম পরিস্থিতির মতো বিষয়গুলো সমাধান করা প্রয়োজন।’ প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থা তৈরি করতে হলে উদ্যোক্তা এবং তাদের নিয়ে সৎ প্রতিষ্ঠান দরকার বলেও মন্তব্য করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, বিগত সময়ে যতগুলো চেম্বার অব কমার্স ছিল তারা তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেনি। তখন দেশের ভেতরে নির্বাচন হয়নি, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও নির্বাচন হয়নি। আর যেখানে নির্বাচন নেই, প্রতিযোগিতা নেই, সেখানে আমরা টেকসই উন্নয়ন করবো- এটা তো হবে না। প্রতিষ্ঠানগুলোর নেতৃত্বে যারা ছিলেন, তারা একই সঙ্গে দুর্নীতি করেছেন, আবার টেকসই উন্নয়নের কথাও বলেছেন। এটি অনেকটা ফাঁকা বুলির মতো। সিটিজেনস প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপ মেম্বার ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারি-বেসরকারি উভয় জায়গা থেকেই কাজ করতে হবে৷ বিশেষ করে এক্ষেত্রে ব্যক্তি খাতের বড় ভূমিকা রয়েছে। বলা যায়, ব্যক্তিখাতের উন্নয়ন ছাড়া এসডিজি অর্জন সম্ভব নয়। তিনি জানান, দেশে এক কোটির মতো উৎপাদন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে শুধু তৈরি পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো টেকসই উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে। তৈরি পোশাক ছাড়াও আরও অনেক খাতের টেকসই উৎপাদনে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে এসএমইদেরও (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত) সচেতন করা প্রয়োজন। এবিএন/অর্থ ও বাণিজ্য/এসআর/এজে
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ও সিটিজেনস প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের দেশে আগের চেয়ে অনেক বেশি টেকসই উন্নয়নের ধারণার প্রসার ঘটেছে এবং গভীরতাও বেড়েছে। এ অর্জনটি আমাদের বেসরকারি খাতের অর্জন। এ অর্জন সবসময় সঠিকভাবে মূল্যায়িত হয় না, এটিও ঠিক। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাসটেইনেবলিটির প্রসার ও এর অর্জনের যথেষ্ট স্বীকৃতি নেই। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা এটিকে বিশ্বের কাছে এবং সরকারের নীতি নির্ধারকদের কাছে তুলে ধরতে পারিনি। ফলে এর ব্যবসায়িক অর্জনও অনেকটা সীমিত রয়ে গেছে। ‘আবার বেসরকারি খাতের জন্য উপযুক্ত ব্যবসার পরিবেশ না থাকলে টেকসই ব্যবসা মডেলও তৈরি হবে না। সাসটেইনেবল মডেলকে আরও প্রসার করতে হলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশকে আরও উন্নত করতে হবে এবং সরকারের পক্ষ থেকেও সমর্থন বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে অর্থায়ন সমস্যা, জ্বালানি, সরবরাহ, নিয়ন্ত্রণমূলক হয়রানি ব্যবস্থা ও শ্রম পরিস্থিতির মতো বিষয়গুলো সমাধান করা প্রয়োজন।’ প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থা তৈরি করতে হলে উদ্যোক্তা এবং তাদের নিয়ে সৎ প্রতিষ্ঠান দরকার বলেও মন্তব্য করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, বিগত সময়ে যতগুলো চেম্বার অব কমার্স ছিল তারা তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেনি। তখন দেশের ভেতরে নির্বাচন হয়নি, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও নির্বাচন হয়নি। আর যেখানে নির্বাচন নেই, প্রতিযোগিতা নেই, সেখানে আমরা টেকসই উন্নয়ন করবো- এটা তো হবে না। প্রতিষ্ঠানগুলোর নেতৃত্বে যারা ছিলেন, তারা একই সঙ্গে দুর্নীতি করেছেন, আবার টেকসই উন্নয়নের কথাও বলেছেন। এটি অনেকটা ফাঁকা বুলির মতো। সিটিজেনস প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপ মেম্বার ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারি-বেসরকারি উভয় জায়গা থেকেই কাজ করতে হবে৷ বিশেষ করে এক্ষেত্রে ব্যক্তি খাতের বড় ভূমিকা রয়েছে। বলা যায়, ব্যক্তিখাতের উন্নয়ন ছাড়া এসডিজি অর্জন সম্ভব নয়। তিনি জানান, দেশে এক কোটির মতো উৎপাদন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে শুধু তৈরি পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো টেকসই উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে। তৈরি পোশাক ছাড়াও আরও অনেক খাতের টেকসই উৎপাদনে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে এসএমইদেরও (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত) সচেতন করা প্রয়োজন। এবিএন/অর্থ ও বাণিজ্য/এসআর/এজে
এই বিভাগের আরো সংবাদ