আজকের শিরোনাম :

সময় নির্ধারণ করে সেবা দেবে মন্ত্রণালয় : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১৫:২৮

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, মন্ত্রণালয় থেকে আমরা যত সেবা দেই, সব সেবা আমরা একটা রিটেন ফ্লো চার্টের মধ্যে দেব।  যেখানে সেবা দেওয়ার সময় এবং প্রক্রিয়া উল্লেখ থাকবে। কোন প্রক্রিয়া কত সময়ের মধ্যে দেব এটাও করে ফেলব। এটা করে ফেলতে পারলে আমাদের পুরো সেবাটাই ই-গভর্ননেন্সে পরিপূর্ণ রূপ দিতে পারব।

আজ বুধবার (১৫ মে) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ইনোভেশন শো-কেসিং উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছর শুরু হবে এক মাসের মধ্যে। জুনে বাজেট শুরু হবে। আমি কয়েকটি কাজ করতে অনুরোধ করবো আপনাদের। আমরা যে সেবা প্রদান করি সেই প্রক্রিয়াটাকে ডিজিটালাইজ করা। আমাদের ডিজিটালাইজেশনের ধারণাটা পরিষ্কার নয়। কোনো সেবা প্রদান করার প্রক্রিয়া যদি লিপিবদ্ধ না থাকে আমরা ইংরেজিতে বলি (বিজনেস রুলস স্পেসিফিকেশন)। এটা যে কোনো অটোমোশন বা ই-গভর্নেন্স-র পূর্বশর্ত। যে সেবাটি আপনি দেবেন সেটা ফ্লো-চার্টের মতো সাজানো থাকা উচিত। আমাদের আগামী বছরের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রথম উদ্ভাবনী হওয়া উচিৎ আমাদের সেবাদান প্রক্রিয়া লিপিবদ্ধ করে ফেলা। এগুলো যার যার বিভাগে যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়া। খুব সহজ; আমি কি সেবা দিচ্ছি এবং সেবাটা কি প্রক্রিয়ায় দেব৷  স্টেপ বাই স্টেপ লিপিবদ্ধ থাকবে৷ আগামী বছর আমাদের উদ্ভাবন পরিকল্পনা একটা অন্যতম অনুষঙ্গ হবে এটা৷ 

তিনি বলেন, এখন আর আরজিসিতে একটা কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করতে কাউকে আমাদের অফিসে আসতে হয় না৷ দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকবে সেখানে বসেই কিন্তু একটা কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব৷ আমাদের আইআরসি, এক্সপার্ট পারমিশন, ইমপোর্ট পারমিশন কিন্তু অনলাইনে সেবা দানের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি৷ যেখানে আমাদের সমস্যাটা সমাধান করতে হবে সেটা হলো জিনিসটাকে একই লাইনে আনতে হবে৷ একটা প্রক্রিয়া অটোমেট করলেন আরেকটা করলেন না তাহলে তো হবে না৷ এই জায়গাগুলোতে আমাদের উদ্ভাবনী প্রক্রিয়াগুলো চিন্তা করি এবং সেটাকে আমরা ডিজিটালাইজ করার চেষ্টা করি৷

টিটু বলেন, প্রধানমন্ত্রী চারটি পিলারের ওপর স্মার্ট বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়েছেন৷ প্রথমত স্মার্ট সিটিজেন, তাদেরকে নিয়েই আমাদের সকল কর্মপরিকল্পনা৷ কোন সিস্টেম ডিজিটাল করলাম কিন্তু পেমেন্ট মেথড ডিজিটাল করলাম না তাহলে কিন্তু পরিকল্পনাটা সু-সম্পূর্ণ হলো না৷ আপনি সেবা দিচ্ছেন কিন্তু পেমেন্টটা কিভাবে নিচ্ছেন সেটাও কিন্তু ভাবতে হবে৷ এটাকে ডিজিটালাইজ করতে হবে৷

তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকটা জিনিসের কর্মপরিকল্পনা লিপিবদ্ধ করে ডিজিটালাইজ এবং সম্পূর্ণ করতে পারলেই আমাদের সার্থকতা৷ 

তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলা এবং ইংরেজি একেবারে গুলিয়ে ফেলছি৷ হয় পুরোটা ইংরেজিতে বলি অথবা পুরোটা বাংলায় বলি৷ আমার মনে ইংরেজি যা লিখি সেটা ইংরেজি লেটার দিয়ে লিখলে ভালো হয়৷ আমাদের এই প্রাকটিসটা শুরু করা উচিত৷

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ