আজকের শিরোনাম :

ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৮

রমজান উপলক্ষে ভোজ্যতেলের ওপর ভ্যাট ছাড়ের মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৫ এপ্রিল। এখন পুরোনো দামে তেল বিক্রি করতে চান মিল মালিকরা। ফলে ভোজ্যতেলের দাম বাড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে তেলের দাম বাড়িয়ে আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে এ কথা জানান তিনি। ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ। 

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেলের স্থানীয় উৎপাদনে ও আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট ৫ শতাংশ কমায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ শেষ হওয়ায় তেলের দাম আগের অবস্থায় নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন মিল মালিকরা। 

এর জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, তেলে ৫ শতাংশ ডিউটি (ভ্যাট) কমিয়েছিলাম, এতে ভোক্তা পর্যায়ে ১০ টাকা কমেছিল তেলের দাম। সেই ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। আমাদের ট্যারিফ কমিশন এটা নিয়ে কাজ করছে। দেখা হচ্ছে মিলাররা কী দামে তেলের কাঁচামাল আনছেন এবং তার দাম কেমন পড়ছে ইত্যাদি বিষয়ে। তবে, তেলের দাম পূর্বের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই, এটা বলতে পারি।

তেলের দাম বাড়াতে গতকাল (সোমবার) বাণিজ্য সচিবকে চিঠি দেন মিল মালিকরা। সেখানে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ১৭৩ টাকা, পাঁচ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা এক লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিঠির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। চিঠিও আমি এখনো পাইনি, যদি পাঠিয়ে থাকেন অফিসে গিয়ে দেখতে হবে।

এদিকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান উত্তেজনার জেরে দেশে বিভিন্ন পণ্যের দাম যাতে না বাড়ে, সে জন্য বিকল্প দেশ থেকে পণ্য আমদানি এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইরান ও ইসরায়েল হঠাৎ করে হামলা করেছে। এটা আমাদের জানা ছিল না। মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য পণ্য আসে। এখন ইসরায়েল ইরানে পাল্টা হামলা চালাবে কি না, জানি না। তারপর সব বিষয় মাথায় রেখে পণ্যের দাম যেন না বাড়ে, সে জন্য আমরা বিকল্পভাবে পণ্য আনার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, টিসিবির পণ্যকে দোকানের মধ্যে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া, টিসিবি কার্ড পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা হালনাগাদ করা হবে।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ