বাংলাদেশকে ৪৯ হাজার কোটি টাকা দেবে এআইআইবি

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:০০

আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। প্রতি ডলারের দাম ১০৮ টাকা ৮৪ পয়সা ধরা হলে বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪৮ হাজার ৮১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বাংলাদেশের জন্য এই অর্থ পাইপলাইনে রয়েছে।
এআইআইবির বোর্ড অব ডাইরেক্টরস এবং ৮ম বার্ষিক সভায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। মিশরের শারম আল শেখে ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের বার্ষিক সভায় জলবায়ু অর্থায়ন এবং পাবলিক ও প্রাইভেট বিনিয়োগের মধ্যে সেতু বন্ধনের ওপরে জোর দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অর্থমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশে ২০১৬ সালে বিদ্যুৎ খাতে ১৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে এআইআইবির বিনিয়োগ শুরু হয়েছিল। প্রথম ৩ বছরে এআইআইবির অর্থায়ন ছিল ৪টি প্রকল্পের বিপরীতে ৪৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বর্তমানে ১৮টি প্রকল্পের বিপরীতে ৩ হাজার ২৭০ মিলিয়ন ডলার।
অর্থমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আরও জানানো হয়েছে, আগামী ৫ বছরের জন্য এআইআইবি অর্থায়নের বাংলাদেশের পাইপলাইনে ৪ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার রয়েছে। যা বাংলাদেশে আগামী ৫ বছরে জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলায় অর্থায়ন এবং পাবলিক ও প্রাইভেট বিনিয়োগের মধ্যে সেতু বন্ধনে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
এআইআইবির সভায় বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সর্ম্পক বিভাগের সচিব শরিফা খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে। শরিফা খান সভায় জলবায়ু সহিষ্ণু অবকাঠামো নির্মাণে অধিক অর্থায়নেরর জন্য আহ্বান জানান।
এবারের বার্ষিক সভার মূল প্রতিপাদ্য ‘সাসটেইনেবল গ্রোথ ইন এ চ্যালেঞ্জিং ওয়ার্ল্ড’ অত্যন্ত সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে শরিফা খান বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়, উন্নত থেকে উন্নয়নশীল সব দেশই এই মুহুর্তে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। যার বেশিরভাগই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ইত্যাদির কারণে উদ্ভূত। বিশেষ করে জলবায়ু সহিষ্ণু অবকাঠামো নির্মাণ বর্তমান সময়ে অত্যন্ত জরুরি।
সভায় এআইআইবি সভাপতি এবং বোর্ডের চেয়ারম্যান জিন লিকুন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সদস্যদের প্রচেষ্টায় একযোগে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আগামী জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এআইআইবি সদস্যদের পাশে থাকবে। আমাদের অবশ্যই গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন দ্রুত কমাতে, আবহাওয়ার চরম অবস্থায় শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং পৃথিবীতে জীবনকে সম্ভব করে তোলে এমন প্রাকৃতিক পুঁজিকে রক্ষা করতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এবিএন/এসএ/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ