আজকের শিরোনাম :

চোরের ভয়ে পুলিশের মোটরসাইকেলে হ্যান্ডকাপ!

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ১৪:৫১

বিভিন্ন মামলার আসামিদের থানায় ধরে আনতে পুলিশ সদস্য ব্যবহার করে থাকেন হ্যান্ডকাপ। চোরদের হাত থেকে মোটরসাইকেলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তালা হিসেবে সেই হ্যান্ডকাপ ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুরের পালং থানার এএসআই মাসুদ রানার বিরুদ্ধে। নিজের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের হাইড্রোলিক প্লেট হ্যান্ডকাপ দিয়ে তালা মেরেছেন তিনি। এমনকি নম্বর প্লেটের স্থানে পুলিশ লিখে রেখেছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে এমন একটি ভিডিও।

আজ মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে হ্যান্ডকাপ দিয়ে তালাবদ্ধ অবস্থায় পুলিশের মোটরসাইকেলটি দেখতে পাওয়া যায়। ঘটনাটি ঘটেছে শরীয়তপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর এলাকায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শান্তিনগর এলাকার মালয়েশিয়াপ্রবাসী আল-আমিন মোল্লার বাসায় ভাড়া থাকেন পালং মডেল থানার এএসআই মাসুদ রানা। তিনি বাসার সামনে তার মোটরসাইকেলটি রাখেন। এ সময় তিনি আসামি ধরার জন্য ব্যবহৃত হ্যান্ডকাপ দিয়ে মোটরসাইকেলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সামনের হাইড্রোলিক প্লেট তালা মেরে রাখেন। তার মোটরসাইকেলের পেছনে নেই নম্বর প্লেট। লেখা রয়েছে পুলিশ। প্রায় সময় তিনি এই কাজ করে থাকেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন, আমি এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিনই যাতায়াত করি। মাঝেমধ্যেই দেখি হাতকড়া দিয়ে মোটরসাইকেলের সামনের চাকায় তালা দেওয়া থাকে। মোটরসাইকেলটির পেছনে নম্বর প্লেটও নেই। নম্বর প্লেটের স্থানে লেখা রয়েছে পুলিশ। পুলিশ সদস্যের এমন কর্মকাণ্ড কখনোই আশা করা যায় না।

হ্যান্ডকাপ দিয়ে মোটরসাইকেলের সামনের চাকায় তালা মারার বিষয় জানতে চাইলে পালং থানার এএসআই মাসুদ রানা মুঠোফোনে হাসি দিয়ে বলেন, ‘হোন্ডা চুরি হয়ে যায়। লক ভেঙে চুরি করে নিয়ে যায় চোররা। এ জন্যই হ্যান্ডকাপ দিয়ে তালা মেরে রাখি মোটরসাইকেলটি।’

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ