আজকের শিরোনাম :

ওপারে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণ, টেকনাফ সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ০০:৪৩

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে অবস্থিত মিয়ানমারের রাখাইন থেকে আবারও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে। সোমবার (৬ মে) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত টেকনাফের হ্নীলা ও সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তসহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরণের এ শব্দ শোনা গেছে। গোলার শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন এপারের স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা গেছে, মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠি আরাকান আর্মি (এএ) ও আরও একটি বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রবল গুলি ও গোলাবর্ষণ চলছে একে অপরের মধ্যে। বিগত এক বছরে কয়েক দফা সীমান্তে উত্তপ্ত অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার পর মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হয়েছিল। কিন্তু গত দুয়েক দিন ধরে আবার নতুন করে অস্থির হয়ে উঠেছে সীমান্তের পরিস্থিতি। ওপার থেকে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ এবং দুই দফায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা পালিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশে। এমন পরিস্থিতিতে টেকনাফের বাসিন্দাদের মধ্যে নতুন করে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।

আমিরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, কিছুদিন সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। আবারও নতুন করে ওপারে মিয়ানমারে গোলার শব্দে এপার কেঁপে উঠছে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গোলাগুলির শব্দে আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মধ্যে। এ পরিস্থিতে নাফ নদীর সীমান্তে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৮৮ জন বিজিপি সদস্যকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে কোস্টগার্ড।

টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, রাখাইনের সংঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে সংঘাতের জেরে যেন রোহিঙ্গা বা অন্য কোনো গোষ্ঠী বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য নাফ নদী ও সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ