চকরিয়া-পেকুয়ায় বজ্রপাতে দুই লবণ চাষী নিহত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ মে ২০২৪, ১৮:৫১

কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ায় হঠাৎ কাল বৈশাখীর তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এ সময় বজ্রপাতে দুই লবণ চাষী নিহত হয়েছে। বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। বৃহস্পতিবার (২ মে) ভোরের দিকে কাল বৈশাখীর এই তান্ডব শুরু হয়। চলে বেশ কয়েক ঘন্টা। 

নিহতরা হলেন পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কোদাইল্লারদিয়া মো.জমির উদ্দিনের ছেলে লবণ চাষী মো.দিদার (৩৪), একই উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের চড়িপাড়ার জামাল হোসাইনের ছেলে মো. আরাফাত হোসাইন (২৫)। 

মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.ইফনুছ চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে হঠাৎ কাল বৈশাখীর ঝড় ও সাথে ব্যাপক বজ্রপাতও হয়। এসময় লবণ চাষী দিদার লবণ মাঠে যায় লবণের উপর পলিথিন ঢেকে দিতে। এতে বজ্রপাতে সে দগ্ধ হয়ে মারা যায়। 

রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল জানান, ভোরের দিকে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাত শুরু হলে বাবা জামাল হোসাইনের সাথে লবণ মাঠে যায় লবণ আরাফাত। এ সময় বজ্রপাতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়ার সময় আরাফাত নিহত হন।

অপরদিকে, কালবৈশাখীর তান্ডবে চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী এবং উপকুুলীয় এলাকার লবণ মাঠের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ভেঙ্গে গেছে বসতঘর ও আঙ্গিনার গাছগাছালি। পৌরশহর ও ১৮ ইউনিয়নে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। বিদ্যুৎ সরবরাহ দ্রুত চালু করতে কাজ করছে চকরিয়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। বিভিন্ন ইউনিয়নে গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় আপাতত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। কাল বৈশাখীর তান্ডবে উপকুলীয় এলাকার লবণ মাঠ, ফসলি জমি ও বসতঘরও ভেঙ্গে গেছে বলে জানিয়েছেন স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। 

ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন হেলালী বলেন, কাল বৈশাখীর হঠাৎ তান্ডবে আমার ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ভেঙ্গে গেছে বসতঘর ও আঙ্গিনার গাছগাছালি। সকাল থেকে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসকে জানানো হয়েছে। 

বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে হোসাইন আরিফ জানান, ভোরে কালবৈশাখীর তান্ডবে আমার ইউনিয়নের লবণ মাঠের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে স্তুপ করে রাখা সব লবণ পানিকে ভেসে গেছে। তাছাড়া বসতঘরও ভেঙ্গে গেছে। সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হবে।

এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ