আজকের শিরোনাম :

বোচাগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১০

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ মে ২০২৪, ১৪:২০

বোচাগঞ্জ থানা পুলিশের ওপর হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ ৬০/৬৫ জন অজ্ঞাত অভিযুক্ত করে এস আই হাসিনুর রহমান মামলা দায়ের করেছে। থানা পুলিশ উক্ত মামলায় ১০ জনকে গ্রেফতার করে দিনাজপুর জেলা আদালতে প্রেরণ করেছে।

অভিযুক্তরা হলেন চয়ন চন্দ্র রায়(২৫) মিঠুন চন্দ্র রায়(২৭) অনিক রায় (২০) লিখন রায়(৩০) আপন রায়(২৫) বিলাশ চন্দ্র রায়(৬০) রাজ কুমার(৫৬) জগদীশ রায়(২৬) পংকজ রায়(৩০) মংলু রায়(৪৫) সুর্য রায়(২০) মহেশ রায়(২১)। এছাড়াও অজ্ঞাত ৬০/৬৫ জন। একজন ছাড়া সকল অভিযুক্তদের বাড়ী বোচাগঞ্জ উপজেলায়। ১৪৩/১৮৬/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৪২৭ ও ৩৪ ধারা মতে গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় অভিযুক্তদের আদালতে প্রেরণ করে বোচাগঞ্জ থানা পুলিশ।

উল্লেখ্য গত ২৯ এপ্রিল সোমবার সকাল আনুমিক ১০টার দিকে বোচাগঞ্জ উপজেলার ইশানিয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষিকা পাশ^বর্তী কাহারোল উপজেলার ডাবোর ইউনিয়নের একটি মিশন স্কুলে যাওয়ার পথে একটি ট্রাক্টরের হেলপার তাকে অশ্লীলভাষায় কথা বলে উক্তত্য করে। এই ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পর ট্রাক্টরের মালিক পাশ^বর্তী কাহারোল থানার চামদুয়ারি গ্রামের মোঃ জিয়ারুল ইসলামকে মোবাইলে ফোন করে ইশানিয়া এস,সি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ডেকে আনা হয়। সেখানে তাকে আটকে রেখে ঐ শিক্ষিকার অভিভাবক ও এলাকাবাসী এলোপাথারি মারধোর করে। 

বোচাগঞ্জ থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আটককৃত জিয়ারুল ইসলামকে পুলিশ হেফাজতে নিতে চাইতে উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপর হয়ে পুলিশ ভ্যান ভাংচুর করে ও ড্রাইভার মোঃ মোস্তাছিন আলম তুহিনকে গাড়ী সহ পাশ^বর্তী পুকুরে ফেলে দেয় এতে পুলিশ এর ড্রাইভার ও ট্রাক্টর মালিক জিয়ারুল গুরুত্বর আহত হয়। এসময় অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে বোচাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পুলিশের ড্রাইভার মোস্তাছিনকে দিনাজপুরে প্রেরণ করে। উক্ত ঘটনায় ঐদিন রাতেই বোচাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-০৯৯/২৮ ২৯/০৪/২৪। 

এদিকে বোচাগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনার দিন রাতেই ইশানিয়া ও বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ জন তালিকাভুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। বর্তমানে উক্ত ঘটনায় ইশানিয়া সহ আশপাশের গ্রামে গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে। 

বোচাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক রাসেল জানান, কোন নিরপরাধ ব্যক্তিকে পুলিশ হয়রানী করবে না। তবে যারা ঘটনার সাথে জড়িত তদন্ত ও ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। 

এবিএন/মোঃ সাজ্জাদুল আযম/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ