হবিগঞ্জে হারুন হত্যা মামলায় ৭ জনের ফাঁসি

হবিগঞ্জে হারুন আহম্মদ হত্যা মামলায় ৭ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ এর বিচারক আজিজুল হক এ রায় দেন। উক্ত মামলায় আরও ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়। তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। 

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন জয়নাল মিয়া, মিলন আহমেদ, আবুল ফজল, কুতুব উদ্দিন, রফিক মিয়া, জাকির হোসেন, আব্বাস উদ্দিন। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন ছায়েদ আলী, মিজাজ আলী, মতলিব মিয়া, কুতুব উদ্দিন, আবুল কালাম, জিয়াউর রহমান, আয়াত আলী (পলাতক), ইছাক আলী, জজ মিয়া, ইব্রাহিম।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, সদর উপজেলার হুরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য মিলন আহমেদ এবং হারুন আহমেদের মধ্যে এলাকায় বিরোধ চলছিল। ২০০৩ সালে ইউপি নির্বাচনের পর এ বিরোধ আরও তীব্র হয়। ওই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারী সকালে হারুন আহমেদসহ ৭/৮ জন নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল আহমেদকে দাওয়াত দিতে যান। এ সময় পথে ৪০/৫০ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় হারুন আহমেদ ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁর শরীরে ৩২টি ফিকলের আঘাতের চিহ্ন পায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সুমন আহমেদ বাদি হয়ে একই দিন সদর থানায় ৪৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৮ আগস্ট পুলিশ সব আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। মামলায় ১৫ জন সাক্ষির স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক মঙ্গলবার উল্লেখিত রায় দেন। মামলার আসামীদের মধ্যে ৮ জন বিচার চলাকালীন মারা যান। ২২ জনকে নির্দোশ প্রমাণিত হওয়ায় খালাস দেয়া হয়। উক্ত মামলায় রাষ্টপক্ষের আইনজীবীকে সহযোগিতা করেন সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর পারভীন আক্তার। আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান।

এবিএন/নুরুজ্জামান ভূইয়া/জসিম/গালিব