হবিগঞ্জে ধান কাটা উৎসবে মেতেছেন কৃষকরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৯ | আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০০

হবিগঞ্জের হাওড়ে চলছে ধান কাটার উৎসব। চলতি বছর হবিগঞ্জ জেলায় ১ লাখ ২২ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে স্বল্পকালীন নতুন জাতের ধান আবাদ হয়েছে।

অকাল বা আগাম বন্যায় বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় চিন্তিত থাকেন হাওরের কৃষকরা। সেই পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত বর্ধনশীল বেশ কিছু নতুন ধান উদ্ভাবন করেছেন হবিগঞ্জ ধান গবেষণা ইন্সিটিউট। মাস জুরে সোনালি ধান কাটা উৎসব এ মেতেছেন কৃষকরা। হবিগঞ্জ জেলার গুঙ্গিয়াজুরি হাওরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সিটিউট এ ব্রি উদ্ভাবিত স্বল্পকালীন জাতের ধান কাটার মধ্যে দিয়ে আশায় বুক বাধছেন এই অঞ্চল এর কৃষকরা। ব্রি-৮৮, ব্রি-৬৭ ও ব্রি-৯৬ চাষ করেছেন কৃষকরা। বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২২ মন ফলন পেয়েছেন। নির্ধারিত সময় এ ফলন উঠলে অসময়ের ঢল থেকে বাঁচবে হাওরবাসী। 

কৃষকরা জানান, "বিশেষ করে হাওরে এটি আমাদের উপকার আসবে। যেহেতু বৃষ্টি আসার আগেই  এই ধান পাওয়াতে আমরা অনেক খুশি। আগামীতেও ইনশাল্লাহ ফলন ভালো হবে। গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দু বলেন বলেন এবারের ফলন খুবই ভালো হয়েছে। বানিয়াচং উপজেলার পাতাইরা গ্রামের সাইফুল জানান বলেন, যে অন্যান্য বছরের তুলনায় এইবার ভালো ফলন হয়েছে। 

জাপান এর আর্থিক সহযোগিতায় হবিগঞ্জ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসেড কৃষক পর্যায়ে বীজ সরবরাহ করে, এই জাতের ধান চাষে সহায়তা করছে।বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সিটিউট, হবিগঞ্জ এর কৃষিবিদ সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. মোঃ আবু সাইদ বলেন সময়ের আগে ধান পাওয়ায় আগাম ধান বিক্রি করে ভালো দাম পাবেন কৃষকরা। অতিবৃষ্টি অথবা হাওরের পানি ঢুকে তখন কৃষক এর চোখের সামনে পাকা ধান তলিয়ে যায়। বন্যা আসার আগেই এই ধান কাটতে পারে। এসেড এর প্রধান নির্বাহি জাফর ইকবাল চৌধুরী বলেন বন্যা আগাম আসলেও চাষীরা ধান কাটতে পারে। ব্রী এর কাছ থেকে পরামর্শ শুনে তাদের স্বল্পকালীন জাত মেয়াদে বীজ সরবরাহ করে কৃষক এর মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছি। হবিগঞ্জ জেলার প্রত্যেকটি উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। 

এবিএন/নুরুজ্জামান ভূইয়া/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ