ফুলবাড়িয়ায় নেশার টাকা না দেওয়ায় বাবাকে খুন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৬

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় নেশার টাকা না দেওয়ায় বাবাকে খুন করেছে নেশাখোর পুত্র অপরদিকে আরেক নেশাখোরের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ৮ ঘণ্টা ব্যবধানে একই ইউনিয়নের পৃথক দুটি গ্রামে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়িয়া উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের আন্ধারিয়াপাড়া গ্রামে নেশার টাকা না দেয়ায় পিতা হেলাল উদ্দিন ব্যাপারীকে নির্মমভাবে ছুরি দিয়েু হত্যা করেছে নেশাখোর ছেলে আরিফ। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত দশটার দিকে নিজ বাড়িতে।

নিহতের ভাগিনা রিয়াদুল ইসলাম শাহিন জানান, তার মামাতো ভাই আরিফ নেশার টাকার জন্য প্রতিনিয়ত তার বাবা-মায়ের গায়ে হাত তোলাসহ বিভিন্নভাবে হেনস্তা করতো। এমনকি নেশার টাকার জন্য ঘর থেকে জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে তা বিক্রি করে নেশার টাকা জোগাড় করতো। ঘটনার দিন রাত অনুমান দশটার দিকে নিজ বাড়িতে নেশার টাকার জন্য ছেলের সাথে পিতার বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে নিজের বাবাকে ছুরি দিয়ে ঘাড়ে ও পেটে এলোপাথারি আঘাত করে নেশাখোর আরিফ। বাড়ীর পাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক হেলাল উদ্দিন কে মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে একই ইউনিয়নের কালাকান্দা গ্রামের মোবারক কেরানীর নেশাখোর ছেলে মাসুদের লাশ নিজ বাড়ীর উত্তর পাশের কবরখানা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের সাথে বাক বিতন্ডা হয় মাসুদের। পরে অভিমান করে বাড়ী থেকে একটা বালিশ, কাথা ও কম্বল নিয়ে কবরখানার দিকে বের হয় মাসুদ। রাত ১টার দিকে এলাকার দোকান থেকে ২ প্যাকেট চানাচুর ও বিস্কুট কিনে নিয়ে আসে মাসুদ। এরপর সেই কবরখানায় ঘুমায়। বেলা ১১টার দিকে স্থানীয়রা ধানক্ষেত দেখতে গেলে সেখানে শুয়ে থাকতে দেখে মাসুদকে। কাছাকাছি গিয়ে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তাদের ডাক চিৎকারে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশিরা ছুটে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে যায়।

থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, বাবা খুনের ঘটনায় বড় ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন, আসামী গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

অপর ঘটনায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পারিবারিক বিরোধ ছিল, তৃতীয় কোন পক্ষ হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। আলামত জব্দ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।

এবিএন/হাফিজুল ইসলাম স্বপন/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ