তিতাসের দম্পতির লাশ দাউদকান্দির ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৩

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার এক পরকিয়া দম্পতির লাশ দাউদকান্দি ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার ৫ (এপ্রিল) ২০২৪ রাত আনুমানিক দশটায় দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নে লক্ষীপুর গ্রামের প্রবাসী মজিবুর রহমানের বাড়ি থেকে এই দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহতরা হলেন তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স মালেখা বেগম(৪০) সে জেলার বুড়িচং উপজেলার সাদতপুর গ্রামের ভাষা গাজী বাড়ির মৃত নওয়াব মিয়ার তৃতীয় মেয়ে। অপর জন নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার মৈশাদী গ্রামের আবুল মান্নান মুন্সির ছেলে আমিনুল ইসলাম (৪৫)। সে বিয়ে করার সুবাদে তিতাসের ওমরপুর শশুর বাড়িতে থাকতেন।

দম্পতির মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফাড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, নিহত দম্পতি লক্ষীপুর গ্রামের প্রবাসী মজিবুর রহমানের বাড়িতে নিচ তালায় ভাড়া থাকতেন, বৃহস্পতিবার বিকালে তারা বাসায় ঢুকে আর বের হয়নি, এতে বাড়ির মালিকের সন্দেহ হলে আজ সন্ধ্যায় পুলিশকে খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখি ফ্লোরের বিছনায় মরদেহ দুটি পরে আছে। পরে পুলিশ উদ্ধার করে ফাড়িতে নিয়ে আসছে, আজ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কিভাবে মারা গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

বাড়ির মালিক মজিবুর রহমানের স্ত্রী নার্গিস বেগম বলেন, ছয় মাস আগে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তাঁরা সাবলেটে একটি রুম ভাড়া নেয় এবং প্রতি বৃহস্পতিবার বিকেলে আসে শনিবারে চলে যায়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এসে রুমে ঢুকে আর বের হয়নি, তখন আমাদের সন্দেহ হলে আমরা পুলিশকে ফোন দেই।

নিহত মালেখার প্রথম স্বামী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের বিশ বছরের দাম্পত্য জীবনে দুইজন কন্যা সন্তান রয়েছে। আমরা খুব শুখেই ছিলাম হঠাৎ করে আনুমানিক দশ মাস পূর্বে মালেখা আমাকে তালাক নামা পাঠায়, তখন আমি তার কলিকদের নিয়ে চেষ্টা করেছি পুনরায় সংসার করার কিন্তু মালেখা রাজি হয়নি। তখনও আমি জানতাম না সে পরকিয়া করে বিয়ে করেছে।

নিহত আমিনুল ইসলামের স্ত্রী ওমরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহানাজ আক্তার বলেন, আমিনুলের সাথে ১৯৯৯ সালে পারিবারিকভাবে হয়। আমাদের তিনজন কন্যা সন্তান রয়েছে। এর আগেও সে আরেকটি বিয়ে করেছিল। কি কারণে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলো জানতে চাইলে শাহানাজ বলেন, ওনার চরিত্র ভালো ছিলনা, অনেক অত্যাচার নির্যাতন করতো আমি  এবং মেয়েরা আর সহ করতে পারছিলাম না, তাই মেয়েদের সাথে আলোচনা করে আনুমানিক এগারো মাস পূর্বে তালাক দিয়েছি। আমিনুল ইসলাম এর মেজো মেয়ে সায়মা ইসরাত ইভা বলেন,আমার বাবা আমাদেরকে আদর-সোহাগ করতোনা এবং কি মায়ের সাথেসহ আমাদের সাথে বাজে ভাষা বলতেন যা প্রকাশ করার মতো না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সরফরাজ হোসেন খান বলেন, এক সপ্তাহ আগে শুনেছি মালেখা বিয়ে করেছে, কাকে বিয়ে করেছে তা কিছুই জানিনা। তবে কড়িকান্দি মুন্সি বাড়ির এক জৈনক এই বিয়েতে সহযোগিতা করেছে বলে শুনতেছি।

এবিএন/কবির হোসেন/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ