খানসামা উপজেলা পরিষদের ফুলবাগানে মুগ্ধ সেবাগ্রহীতারা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৮

ফুলকে না ভালোবাসে! প্রতিটি মানুষেরই রয়েছে ফুলের প্রতি বিশেষ দুর্বলতা ও ভালোবাসা। একেক জন ব্যক্তির একেক রকমের ফুলের প্রতি পছন্দ রয়েছে। এজন্যই মহান সৃষ্টিকর্তা হরেক রকম ফুল দিয়ে পৃথিবীকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে তুলেছেন। সেই প্রাচীনকাল থেকেই ফুল ভালোবাসা ও সৌন্দর্য্যের প্রতিক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। ফুল দর্শনেই মানুষের হৃদয় ভালো হয়ে যায়। রাতের পর ফুটছে ভোরের আলো। ভোরের আলোয় সূর্যের কিরণ এসে পড়ছে গাছের প্রতিটি পাতায়। বিভিন্ন প্রজাতির ফুলগাছের পাতায় পাতায় জমছে শিশির বিন্দু। সুর্য কিরণের আলোয় যেন মুক্তার মতো ঝলমল করছে শিশির বিন্দু। রাতের শিশিরে সিক্ত হয়ে ফুল ভোরের আলোতে তার সৌন্দর্য সবার নিকট বিকশিত করছে। বাগানের সাজানো-গোছানো ফুলগাছে খেলা করছে প্রজাপতির দল। চারিদিকে বিচিত্র রকমের দেশি-বিদেশি ফুলগাছ। কেউ কেউ থমকে দাঁড়িয়ে দু'চোখ ভরে উপভোগ করছেন এসব ফুলের নান্দনিক সৌন্দর্য। কেউবা মুঠোফোনে বাগানের সৌন্দর্য্য ধারণ করে স্মৃতিময় করে রাখতে ফ্রেমবন্দি করে রাখছেন। অনেকেই শখের বশে বাড়ির আঙ্গিনায় ও অফিসের সম্মুখে নয়নাভিরাম ও নান্দনিক ফুলের বাগান গড়ে তুলছেন। এমনই এক নয়নাভিরাম ও নান্দনিক ফুল বাগান চোখে পড়ে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা পরিষদ চত্বরে। যা সাধারণত সরকারি অফিস-আদালত চত্বরের সম্মুখে সচরাচর চোখে পড়ে না। 
উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনে প্রবেশ করতেই ভবনের সম্মুখে চোখে পড়বে একটি নান্দনিক ফুল বাগান। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে ওই বাগানে ফুটেছে হরেক রকম ফুল। সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে এ ফুল বাগানটি। এ ফুল বাগানটি গড়ে তোলার মাধ্যমে উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে তুলেছেন উপজেলা পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন। উপজেলা পরিষদে আসা সেবাগ্রহীতাসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ এ বাগানের মনোরম পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন। অবসর সময়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন বাগানটির তত্ত্বাবধান ও ফুলগাছগুলোর পরিচর্যায় কর্ম ব্যস্ত থাকেন। প্রায় সময় উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারিরা এ ফুল বাগানের সৌন্দর্য্য উপভোগ করে থাকেন। ইতোমধ্যে এ বাগান ঘুরে মুগ্ধ হয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

সরজমিনে দেখা গেছে-এ বাগানটিতে সাদা, কালো, হলুদ, সিঁদুরসহ ১৮ রঙের গোলাপ ফুল রয়েছে। এছাড়াও বাগানটিতে পাউডার পপ, সেলভিয়া, লাল হেনা, জবা, ডালিয়া, বেলি, টেকনা, নীলকন্ঠ, বোতামপাম, টিকমা, মাইক ফউল, গাদাসহ ভিন্ন প্রজাতির ফুলগাছ। 

উপজেলা পরিষদে আসা সেবাগ্রহীতা মো. সোহেল আরমান বলেন, আমি প্রায়শই কাজে উপজেলা পরিষদে আসি। এখানে সকালবেলা এসে ফুলের বাগান দেখলে হৃদয় জুড়িয়ে যায়। অফিস চত্বরে সাধারণত এ রকম মনোরম ফুল বাগান খুব কমই দেখা যায়। আমি এরকম সুন্দর ও মনোরম ফুল বাগান করার জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। 

দর্শনার্থী লায়লা খাতুন বলেন, আমি বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে শিশু পার্কে ঘুরতে এসেছি। ফুল বাগান দেখে দাঁড়ালাম। এ ফুলের বাগানটি বেশ সুন্দর ও ভালো লাগল। তাই মোবাইল ফোনে কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম। 

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন বলেন, উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণের সম্মুখে ও দু'পাশে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলগাছ লাগিয়ে অফিসের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে কাজ করছি। উপজেলা পরিষদে আগত সেবাগ্রহীতারা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছে। সময় পেলেই আমি এ ফুল বাগানের পরিচর্যা করে থাকি। 

এবিএন/মো. রফিকুল ইসলাম/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ