আজকের শিরোনাম :

মানিকগঞ্জে ৫ সোনা পাচারকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৫

মানিকগঞ্জে পাঁচ সোনা পাচারকারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক।

বুধবার (১৩ মার্চ) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার এ রায় দেন। এ সময় প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেয়া হয়। অনাদায়ে আরও এক বছর করে, বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামিরা হলো, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার লোহাকুড়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে ইয়াহইয়া আমিন, যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার সংকরপুর গ্রামের মৃত শেখ মোজাম্মেল হকের ছেলে শেখ আমীনুর রহমান, মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজৎ থানার নাগেরহাট গ্রামের আ. রহমান বেপারীর ছেলে মো. মনিরুজ্জামান রনি, যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার সংকরপুর গ্রামের মৃত শেখ মোজাম্মেল হকের ছেলে শেখ জাহিদুল ইসলাম, লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার জগৎপুর গ্রামের মো. আহম্মদ উল্লাহর ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম তারেক।
রায়ের কপি থেকে জানা যায়, গত ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসের ৪ তারিখে ঢাকা থেকে মহাসড়ক হয়ে চোরাকারবারীরা স্বর্ণ নিয়ে বেনাপোল যাচ্ছে। এমন তথ্য পায় র‌্যাব ২। পরে তারা ঢাকা আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের তরা এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করেন। ওই দিন বেলা ১১টার দিকে চেক পোস্টের সামনে বেনাপোলগামী একটি বাস আসলে তারা বাসটিকে সিগন্যাল দিয়ে থামায়। বাসের যাত্রীদেরকে নামতে বলেন। এ সময় ৫ যাত্রী তাদের সামনে দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে র‌্যাব তাদের ধরে ফেলে। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে ২২৭টি স্বর্ণের বার, যার ওজন ৪৩.৭ কেজি (২৬৪৭৭ গ্রাম) উদ্ধার করে। তারা জব্দ করা স্বর্ণের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই। ঘটনার পরের দিন ৫ অক্টোবর মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা রুজু হয়। পরে এই মামলার তদন্তের ভার পান সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. হারেস সিকদার। তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে ১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ১২ তরিখে। ১৫ জনের সাক্ষীগ্রহণ শেষে আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এই রায় দেন।

এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পি.পি মথুর নাথ সরকার ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. নজরুল ইসলাম বাদশা।

এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সন্তষ্টি প্রকাশ করলেও আসামি পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বাদশা জানান, এ মামলার অনেক ত্রুটি রয়েছে, আমরা সঠিক বিচারের জন্য ঊর্ধ্বতন আদালতে আপিল করবো।

এবিএন/মো: সোহেল রানা খান/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ