বেঁধে খতনা করায় শিশু শিহাবের মৃত্যু

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪১

প্রতিবেশীর সুন্নতে খতনা করার কৌতূহল থেকে প্রাণ গেছে বাগেরহাটের চিতলমারীর সাড়ে তিন বছর বয়সী শিশু শিহাব শেখের। তাকে হত্যার দায় করেছে প্রতিবেশী কিশোর হামিম শেখ (১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে সে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে হামিম শেখের ঘরের পাশ থেকে শিহাবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত শিশু শিহাব চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামের ফরহাদ শেখের ছেলে। অভিযুক্ত হামিম শেখ একই এলাকার রমজান শেখের ছেলে।

জানা গেছে, এদিন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে কিশোর হামিম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তার মধ্যে সুন্নতে খতনা দেওয়ার কৌতূহল ছিল। এজন্য সে শিহাবকে বাছাই করে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিহাবকে ডেকে ঘরের মধ্যে নিয়ে যায় হামিম। শিহাবের হাত-পা ও মুখ বেঁধে সে একটি কাঁচি দিয়ে খতনা করার চেষ্টা করে। এতে শিহাবের পুরুষাঙ্গ কেটে যায়। একপর্যায়ে শিহাব অচেতন হয়ে পড়লে শৌচাগারের পাশে রেখে দেয়। সেখানেই শিহাবের মৃত্যু হয় এবং হামিম বাড়ির বাইরে ঘুরতে থাকে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে রাতে মাইকিংও করেন স্থানীয়রা। পরবর্তীতে হামিমের ঘর সংলগ্ন শৌচাগারের পাশ থেকে শিহাবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় শিশু শিহাবের মা সুমি বেগম বাদী হয়ে হামিমকে আসামি করে চিতলমারী থানায় হত্যা মামলা করেন। বুধবার রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত হামিম শেখকে আটক করে। বৃহস্পতিবার আদালতের বিচারক মো. আছাদুল ইসলাম তাকে যশোর কিশোর সংশোধোনাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চিতলমারী থানার ওসি (তদন্ত) মো. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার শিশু শিহাবের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ