মোহনগঞ্জে নারী ভাইস চেয়ারম্যানের বাসভবনে দুর্ধর্ষ চুরি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৮

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা আক্তার শান্তার বাসভবনে এক দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।

চোরেরা তাঁর বাসভবনের গ্রীল কেটে ও দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আলমারির ড্রয়ারে থাকা নগদ ১ লাখ টাকা, প্রায় ১ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকারসহ প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার মালামাল ও জিনিসপত্র নিয়ে গেছে।

সোমবার গভীর রাতে পৌর শহরের উত্তর দৌলতপুর এলাকায় ওই নারী ভাইস চেয়ারম্যানের বাসবভনে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মোহনগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদ মীর কাশেম আকন্দের স্ত্রী ও উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস  চেয়ারম্যান তাহমিনা আক্তার শান্তা গত প্রায় ১০ বছর ধরে তাঁর একমাত্র পুত্র সন্তানকে নিয়ে পৌর শহরের উত্তর দৌলতপুর এলাকার তোফায়েল আহমেদের একটি হাফ বিল্ডিং ঘর ভাড়া নিয়ে তিনি সেখানে বসবাস করে আসছেন। গত দুইদিন আগে তিনি তাঁর বাসভবনের দরজা ও গ্রীলে একাধিক তালা মেরে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় চলে যান। এরই সুযোগে চোরেরা সোমবার দিবাগত গভীর রাতে প্রথমে ওই বাসার বারান্দার গ্রীল কেটে পরে মূল ঘরের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে। পরে চোরেরা দুইটি আলমারির ভেতরে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র তছনছ করে। 

এ সময় আলমারির ড্রয়ারে থাকা নগদ ১ লাখ টাকা, প্রায় দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, ঘরে থাকা  ১টি স্মার্ট টিভি, ১টি ল্যাপটপ, ফ্রীজে থাকা মাছ-মাংস ও ২ বস্তা চালসহ  প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার মালামাল চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। পরে মঙ্গলবার সকালে বাড়ির মালিকসহ প্রতিবেশীরা ওই ঘরের বারান্দার গেইটসহ ঘরের দরজা খোলা দেখে তাদের মনে সন্দেহ দেখা দেয়। পরে তারা বাসার ভেতরে ঢুকে সবকিছু এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে বিষয়টি পুলিশকে জানান। পাশাপাশি তারা বিষয়টি বাসার ভাড়াটিয়া নারী ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা আক্তার শান্তাকেও জানানোর পাশাপাশি  চুরি হওয়ার দৃশ্য  ভিডিও করে ওই নারী ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে পাঠান।

এ ব্যাপারে মঙ্গলবার দুপুরে মোবাইল ফোনে  নারী ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা আক্তার শান্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি না থাকার সুযোগে চোরেরা আমার ঘরে থাকা সবকিছুই চুরি করে নিয়ে গেছে। আমি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ আমার নগদ ১ লাখ টাকা,  প্রায় ১ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকারসহ প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনার খবর পাওয়ার পর মঙ্গলবার সকালে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পাশাপাশি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও পেয়েছি। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।

এবিএন/মোঃ ইমাম হোসেন/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ