বরগুনায় ৫ কোটি টাকার অবৈধ জাল ধ্বংস, ৪ জনের জেল-জরিমানা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩১

নতুন বছরে গত এক মাসে বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসন অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকার অবৈধ জাল আটক করে সেগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে। জেল জরিমানা হয়েছে আ. রব ও মামুন নামের দুই জাল বিক্রেতাসহ অপর দুই মাছ বিক্রেতাকে। জরিমানা আদায় হয়েছে ১৭ হাজার টাকা।

বরগুনার মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন জানিয়েছেন, মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি জালসহ বেশ কয়েকটি ক্ষতিকারক জালের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

বরগুনার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার দেব জানিয়েছেন, ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে বরগুনার তালতলী উপজেলায় মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ ৫৬টি বেহুন্দি জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মশিউর রহমান, মৎস্য কর্মকর্তাবৃন্দ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।  

৩ ফেব্রুয়ারি, শনিবার জেলার পাথরঘাটা থানাধীন নিশানবাড়িয়া ঘাট, ছোনবুনিয়া, কালমেঘা, বাইনচটকী ফেরিঘাট, কাকচিড়া সংলগ্ন বিষখালী নদীতে অভিযান পরিচালনা করে কোস্টগার্ড। এতে ৪০ হাজার মিটার চরঘেরা এবং ৪ লাখ ৭০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত জালের আনুমানিক বাজার মূল্য ২ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। পরবর্তী সময়ে পাথরঘাটা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।

২৯ জানুয়ারি, সোমবার বরগুনা সদর উপজেলায় মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ ৪৫টি বেহুন্দি ও ৩টি চিংড়ি জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। যার মোট আনুমানিক বাজার মূল্য ৩৫ লাখ টাকা। ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মশিউর রহমানের নির্দেশে মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ বেহুন্দি জাল, চিংড়ি জালসহ দড়ি কাছি পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।

বরগুনা পৌর এলাকার সাত গোডাউন থেকে ২৮ জানুয়ারি, রোববার ১ লাখ ৬০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও দুটি বেহুন্দি জাল জব্দ করে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। এ অভিযানে দুজন অসাধু কারেন্ট জাল বিক্রেতাকে জাল মজুদ এবং বিক্রয়ের দায়ে আটক করা হয়। জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মুন্সি এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. আব্দুর রবকে এক বছরের বিনাশ্রম কারান্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ড  এবং অপর বিক্রেতা মোহাম্মদ মামুনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

২৭ জানুয়ারি তারিখে সদর উপজেলা থেকে পাঁচটি বেহুন্দী জাল, ১৫টি চরগড়া জাল, ৪০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং ১০টি খুটো জব্দ করে পোড়ানো হয়।

২৬ জানুয়ারি সদর ও আমতলী উপজেলা থেকে ৫৫ হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। ওই জালের মূল্য ছিল  প্রায় ১০ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি তারিখে মৎস্য অধিদপ্তরের বিশেষ কম্বিং অভিযানে কারেন্ট জাল, চায়না দুয়ারী, বেহুন্দী ও চরগড়া জাল জব্দ করা হয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে এসব জব্দ করা হয়।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) বরগুনা পৌর মাছ বাজারে অভিযান চালিয়ে ১৫ কেজি ৫০০ গ্রাম জাটকা জব্দ করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চন্দন করের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় দুই মাছ ব্যবসায়ীকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

শনিবার, ১৩ জানুয়ারি, বরগুনার তালতলীতে ১০ লাখ টাকার অবৈধ জাল জব্দ করে উপজেলা মৎস্য বিভাগ।

অবৈধ জাল নির্মূলে বিশেষ কম্বিং অপারেশন ২০২৪ এর অংশ হিসেবে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পায়রা নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২২টি কারেন্ট জাল, ২টি বুরল জাল, ১ পাই জাল ও ১টি চরগড়া জাল জব্দ করে। পরে এসব জাল পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে। জব্দ জালের অবৈধ বাজার মূল্য আনুমানিক ৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ