পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিল মিয়ানমারের ৫৬ সীমান্তরক্ষী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৭ | আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৫

মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে প্রাণ বাঁচাতে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) আরও ৬ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এ নিয়ে ৫৬ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তুমব্রু সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তারা।

এর আগে, রোববার ভোর থেকে দুই দফায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীর ৫০ সদস্য নিজেদের প্রাণ রক্ষায় আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে।

রোববার ভোরে প্রথমে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৪ সদস্য আশ্রয় নেয় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বিজিবি ক্যাম্পে।দুপুরের দিকে আরও ৫ সদস্য আশ্রয় নিতে প্রবেশ করে বাংলাদেশে। এরপর বিচ্ছিন্নভাবে দেশটির সীমান্তরক্ষীর আরও কয়েকজন সদস্য প্রবেশ করে বলে জানা গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫৬ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীর সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

৫৬ জন বিজিপি সদস্যই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারে সীমান্তবর্তী ক্যাম্প দখলকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। শনিবার বিকেল থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি হচ্ছিল। রোববার ভোর থেকে আবার লাগাতার গোলাগুলি, মার্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেট লান্সার বিস্ফোরণে, বিকট শব্দে কেপে উঠছে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রুর বিস্তীর্ণ এলাকা। শুধু তাই নয় গুলির সিসা ও রকেট লঞ্চার উড়ে এসে পড়ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। তাদের ছোড়া গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। এছাড়া, ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকায় বসত বাড়িতে এসব এসে পড়ছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। আতঙ্ক, উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন তারা। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও পারছেন না অভিভাবকরা। এছাড়াও কৃষকরা কৃষি ক্ষেতে যেতে ও দৈনন্দিন কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন তারা।

এবিএন/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ