আজকের শিরোনাম :

সুন্দরগঞ্জে ইরি-বোরো ধান রোপণের চলছে মহোৎসব

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৮

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় শ্রমিক সংকট তীব্রতার মধ্য দিয়েও ইরি-বোরো রোপা লাগানোর মহোৎসব চললেও চারা বীজ সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

সম্প্রতি তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে গত ১ সপ্তাহ থেকে উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও এক পৌর এলকার ক্ষেত খামারে কৃষকরা ইরি বোরো ধান রোপনের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। এদিকে এলাকার শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। যে শ্রমিকরা রয়েছেন তারা দিন মজুরী হিসেবে কাজ করতে চাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে শ্রমিকদের বিঘা প্রতি ধান রোপনের জন্য চুক্তি ভিত্তিক কাজ করানো হচ্ছে। এতে করে কৃষকদের ধান রোপনের জন্য শ্রমিক মজুরী হিসেবে গুনতে হচ্ছে বিঘাপ্রতি ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫’শ টাকা। মাঝে মধ্যে দিন মজুর পাওয়া গেলে তাদের মজুরী হিসেবে জন প্রতি গুনতে হচ্ছে ৪’শ থেকে ৪’শ ৫০ টাকা। ইরি বোরো ধান রোপনের অন্তিম সময় হওয়ায় কৃষকদের বাধ্য হয়ে উল্লেখিত অংক গুনতে হচ্ছে। এছাড়া প্রায় গোটা জানুয়ারি মাস জুরে কনকনে ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার কারণে বীজতলায় চারা বীজ অনেকটা নষ্ট হওয়ায় চারা সংকট ইতোমধ্যে দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় চলতি বছর ইরি বোরো রোপন লক্ষ্যমাত্রা ২৬ হাজার ২’শ হেক্টর হওয়ায় চারা সংকটের কারণে তা ব্যাহত হতে পারে বলে কৃষকরা জানান। 

কৃষক মানিক মিয়া, আবুল কালাম, জিল্লুর মিয়া ও হাফিজার রহমানসহ অনেকে জানান, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অধিকাংশ বীজ তলায় চারা বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। যা রয়েছে তা দিয়ে জমিতে ইরি বোরো রোপনে ব্যাঘাত সৃষ্টি হতে পারে। বাজারে যে সকল চারা বীজ পাওয়া যায় তার দাম বেশি। এ বিঘা জমির চারা কিনতে গেলে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২’শ টাকা লাগছে। এ অবস্থায় ইরি বোরো ধান রোপনে ও ফসল উৎপাদনে এ বছর অনেক বেশি খরচ হবে বলে অনেক জমি পতিত থাকতে পারে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাশেদুল কবির জানান, চলতি মৌসুমে ইরি বোরো রোপণের জন্য ১ হাজার ৩’শ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছিল। কিছু বীজতলায় চারা বীজ নষ্ট হয়ে গেলেও আমি আশা করছি এ বছর ইরি বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা যা ধরা হয়েছে তা অর্জিত হবে। 

এবিএন/শাহ মো: রেদওয়ান/জসিম/গালিব 

এই বিভাগের আরো সংবাদ