আজকের শিরোনাম :

নোয়াখালী-২: স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের বাড়িতে হামলায় পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৫

নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের (কাঁচি) সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও গুলি ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর সেনবাগে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি হামলার জন্য নৌকার সমর্থকদের দায়ী করেন। অন্যদিকে, নৌকার প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন।

গত শনিবার রাতে সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের বাড়িতে হামলা হয়। হামলাকারীরা নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমের সমর্থক বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার সমর্থকরা সেনবাগ থানার ওসির অপসারণ দাবি করছেন। তারা বলেন, পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।

ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের অভিযোগ, শনিবার রাত ৮টার দিকে ৫০-৬০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের পর বাড়ির দরজা-জানালার কাঁচ ও ভেতরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের পর লুটপাট ও সিসিটিভির ফুটেজ নিয়ে গেছে। পুলিশকে গুলির খোসাসহ হামলার সরঞ্জাম বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান জানান, সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমের ছেলের নেতৃত্বে হেলমেট বাহিনী তার গণসংযোগে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ব্যাপক হাতবোমার বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করে তারা। পরে চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের বাড়িতে গুলিবর্ষণ করে তাণ্ডব চালায়। নির্বাচন বানচাল করতে এবং ভোটারদের কেন্দ্রে না আসতে তারা এ হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে রোববার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন আতাউর রহমান।  

তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের (নৌকা) ছেলে সাইফুল আলম দিপু জানান, ঘটনার সময় তিনি ওই এলাকায় ছিলেন না। কারা এ হামলা করেছে তাও জানা নেই। নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আবদুর রহমান চেয়ারম্যানের বাড়িতে তার কোনো লোকজন হামলা করেনি। তার (স্বতন্ত্র প্রার্থীর) সমর্থকরাই হামলার করে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে এবং আবদুর রহমান এলাকার একজন খারাপ লোক।  

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হাসান রাজিব জানান, হামলা, ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কিছু জিনিস উদ্ধার করেছে। অভিযোগ তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করা হবে। পুলিশ সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেবে না বলেন জানান তিনি।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ