রূপগঞ্জে দস্তগীর গাজীর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:৩৪

নারায়গঞ্জ -১(রূপগঞ্জ) আসনের কাঞ্চন পৌরসভা এলাকায় নৌকার প্রার্থী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী সমর্থিত দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কাঞ্চন পৌর এলাকার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসূল কলি এবং কাঞ্চন পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুর রহিম লিটুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার কাঞ্চন বাজার এলাকায় এই  সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এলাকার দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারী দুটি গ্রুপ দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে প্রায় এক ঘন্টা ধরে চলা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া পুরো এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে।

সংঘর্ষের  ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে  ৮ জনকে আটক করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাঞ্চন পৌর এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাম রসূল কলির সঙ্গে আব্দুর রহিম লিটুর দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল। প্রায় সময়ই তাদের দুই গ্রুপের লোকজনের মাঝে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছে।

সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় দুই গ্রুপই মাঠে রয়েছে। এখানে উভয় গ্রুপ পেশি শক্তি দেখাতে এবং গ্রুপের লোকসংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের লোকজনকে বিভিন্ন কৌশলে টেনে আনছেন। এ নিয়ে দুই গ্রপের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। ঘটনার জের ধরে দুই দলই সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে আব্দুর রহিম লিটুর লোকজন রামদা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রথমে গোলাম রসুল কলির ছোট ভাই নূর হোসেনের মালিকানাধীন কাঞ্চন বাজারে অবস্থিত মুসলিম সুইটস এন্ড হোটেল নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় পুরো এলাকায় ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে বাজার এলাকা ত্যাগ করে চলে যান। এক পর্যায়ে গোলাম রসুল কলির লোকজন এসে প্রতিবাদ করলে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা পরবর্তীতে সংঘর্ষে গড়ায়।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০  জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের স্থানীয় ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে ভোলাবো তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ভুক্তভোগী নুর হোসেন জানান, কোন কারণ ছাড়াই অহেতুক আব্দুর রহিম লিটুর সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

অন্যদিকে লিটুর পক্ষের লোকজন জানায়, তাদের ওপর প্রথম হামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপঙ্কর সাহা বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় ৮ জনকে আটক করা হয়েছে।

ঘটনার নেপথ্যের কারণ জানিয়ে তিনি আরও জানান, দুই গ্রুপের মধ্যে পূর্ব থেকে অধিপত্য নিয়ে বিরোধ ছিল। তবে মূল ঘটনা উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করছে এবং সংঘর্ষকারীদের আটক করতে অভিযান চলছে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ