আজকের শিরোনাম :

কালিহাতীতে চোখের জলে প্রতিমা বিসর্জন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৪৫

কালিহাতীতে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়েই প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। বিজয়া দশমীর মধ্যে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসবের পাঁচ দিনের আনুষ্ঠানিকতা আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্তি ঘটলো। এ বছর কালিহাতীতে ১৯২ মণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কালিহাতীতে চলে প্রতিমা বিসর্জন। প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে যাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেজন্য কালিহাতীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বাত্মক সতর্ক অবস্থানে ছিল।

উপজেলা বিভিন্ন পূজা মন্ডপ থেকে কালিহাতী পৌর এলাকায় ঝিনাই নদীর পাড়ে প্রতিমা নিয়ে আসতে থাকেন পূজারীরা। শঙ্খ, উলুধ্বনীর আর খোল করতাল ঢাকঢোলের সনাতনী বাজনার সঙ্গে দেবী বন্দনার গানের মধ্য দিয়ে বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রায় অংশ নেন ভক্তরা।

হিন্দু ধর্ম মতে, আজ দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা মর্ত্যলোক ছেড়ে স্বর্গশিখর কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে গেলেন। তবে আবারও ভক্তদের কাছে দিয়ে গেলেন আগামী বছর ফিরে আসার অঙ্গিকার।

তাই আবারও মর্ত্যলোক ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায় ভক্তরা চোখের জলে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানান। ফলে বিদায়ের মধ্যেও দেখা দিয়েছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। বিকেল থেকে কালিহাতী পৌরসভা ঝিনাই নদীতে  প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া শুরু হয়। 

প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে উপস্থিত  ছিলেন সংসদ সদস্য হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী, ইউএনও শাহাদাত হুসেইন, উপজেলা চেয়ারম্যান আনছার আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান, পৌর মেয়র নুরুন্নবী সরকার ও  পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ডা.গনেশ চন্দ্র সাহা,সাধারন সম্পাদক পরিতোষ সেন প্রমুখ।

কালিহাতী থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান, শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্কাষ্যে লিহাতীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বাত্মক সতর্ক অবস্থানে ছিল। আর নির্বিঘ্নে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান শেষ করতে বিকেল থেকে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

এবিএন/তারেক আহমেদ/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ