তারাগঞ্জে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:০৭

রংপুরের তারাগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের হস্তক্ষেপে বন্ধ করা হলো বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহের ঘটনায় কনের বাবাকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের দোয়ালীপাড়া গ্রামে। 

শনিবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটে। কনে ওই গ্রামের সোহেল রানার মেয়ে শিমু আক্তার (১৭)। বর হচ্ছেন পার্শ্ববর্তী নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের হড়িয়াপাড়া গ্রামের নুর মোহাম্মদ (আরিয়া) এর ছেলে সাগর আলী। কনে শিমু আক্তার তার নানার বাড়ি এলাকায় স্থানীয় এক মাদ্রাসার ছাত্রী ছিলেন। 

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে তারাগঞ্জ উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের দোয়ালীপাড়া গ্রামে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের হড়িয়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন চলছিল। 

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুবেল রানা কনের বাড়িতে গিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর আওতায় কনের বাবাকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেন। পরে মেয়ের পরিবারের কাছে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিতে পারবে না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুবেল রানা বলেন, কনে পক্ষ জাল জন্ম সনদ তৈরি করে বিয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিল। বাস্তবে কনের বয়স ১৭ বছর। উপস্থিত থেকে বরের লোজনকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাল্যবিবাহ বেআইনি। এতে অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনের ইতি ঘটে। বাল্যবিবাহ হচ্ছে মাতৃ মৃত্যু, নারী নির্যাতনের প্রধান কারণ। বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে ওই গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে অর্থদণ্ড এবং মুচলেকা নিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।

এবিএন/সিরাজুল ইসলাম/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ