নন্দীগ্রামে মিনি সুন্দরবন দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০২

উত্তরবঙ্গের রাজধানী বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের মুরাদপুর দিয়ে বয়ে গেছে ভদ্রবতী নদী। মুরাদপুর বাজারে অবস্থিত নন্দীগ্রাম-শেরপুর রাস্তার সংযোগ সেতুর দক্ষিণে ৩ কিলোমিটার ও উত্তরে ৩ কিলোমিটার এ নদীর দুই তীরের গাছপালাগুলো এমন ভাবে দাঁড়িয়ে আছে যা দেখে মনে হবে প্রকৃতিক সৌন্দর্য্যের নীলা ভূমি পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের মাঝেই আছি। 

এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন শতশত দর্শনার্থী ভির করছে মুরাদপুর ভদ্রবতী নদীতে। নন্দীগ্রাম উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার ও শেরপুর উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মুরাদপুর মিনি সুন্দরবন। নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে এর সৌন্দর্য্য আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। নন্দীগ্রাম, শেরপুর, বগুড়া ও নাটোরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন শতশত মানুষ এই সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য আসছে এখানে। সকালে লোকজন কম থাকলেও বিকালে মুরাদপুর উপচে পড়া ভির জমে। নৌকা নিয়ে মিনি সুন্দরবনের সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য প্রতিজনের দিতে হয় মাত্র ৩০ টাকা। এছাড়া রিজার্ভ নৌকা নিয়ে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘোরাঘুরি সুযোগ রয়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা শামীম হোসেন জানান, আমাদের এই মিনি সুন্দরবনে প্রতিদিন অনেক লোকজন আসে। সকালে মানুষ কম থাকলেও বিকালে অনেক লোকজন হয়। এই সুন্দরবনকে কেন্দ্রে করে মুরাদপুর বাজারে ব্যবসা বাণিজ্য অনেকগুন বেড়ে গেছে। 

নৌকার মাঝিরা জানায়, একটি নৌকার ভাড়া থেকে প্রতিদিন তারা প্রায় ২০০০-২৫০০ টাকা আয় করছে। তারা আরও বলেন, অনেক লোকজন মুরাদপুরে আসছে সুন্দরবন দেখার জন্য। নদীতে যতদিন পানি থাকবে ততদিন তারা নৌকা চালাবে। 

বুড়ইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, গত কয়েক বছর থেকে মুরাদপুর ভদ্রবতী নদীতে অনেক লোকজন বেড়াতে আসছে। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি এলেই অনেক দর্শনার্থী এখানে বেড়াতে আসে। এলাকাবাসী ওই জায়গার নাম দিয়েছে মিনি সুন্দরবন। নৌকায় উঠে দুই পাশে তাকালে সুন্দরবনের মতোই মনে হয়। নন্দীগ্রাম উপজেলায় কোন বিনোদন কেন্দ্র নাই। তাই সরকারিভাবে পদক্ষেপ নিলে ওইখানে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব।

এবিএন/অদ্বৈত কুমার আকাশ/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ