আজকের শিরোনাম :

ডোমারে স্কুলছাত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, ধর্ষক গ্রেপ্তার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫১

নীলফামারীর ডোমারে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় মোস্তাকিন ইসলাম ফরিদ (২০) নামে এক স্কুলছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে এসআই রেজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে ডিমলা উপজেলার মতিরবাজার এলাকা থেকে ফরিদকে গ্রেপ্তার করে। ফরিদ উপজেলার পাঙ্গাঁ মটুকপুর ইউনিয়নের মৌজাপাঙ্গাঁ গ্রামের রেয়াজুল ইসলামের ছেলে ও মহেশ চন্দ্র লালা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র। ছাত্রীটি পাঙ্গাঁ মহেষ চন্দ্র লালা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ও একই এলাকার মৃত মমিনুর রহমানের মেয়ে। সম্পর্কে তারা চাচা ও ভাতিজি। বর্তমানে ছাত্রীটি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে।

ছাত্রীটির চাচা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গরুকে খাওয়ানোর জন্য ছাত্রীটি  ভূট্টার পাতা আনার জন্য ক্ষেতে গেলে ভুট্টা খেতে ছাত্রীটিকে একা পেয়ে মোস্তাকিন ছাত্রীটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর মোস্তাকিন এই ঘটনা কাউকে বললে তাকে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। তাদের বাড়ী একসাথে হওয়ায় ধর্ষক মোস্তাকিন তাকে ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দিত প্রায় সময়। ভয়ে ছাত্রীটি ঘটনার বিষয়ে পরিবারের লোকজনকে বলেনি। এরেই মধ্যে ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে। ছাত্রীটির শারীরিক আকৃতির পরিবর্তন ঘটলে তার বড়বোন মনি আক্তার তাকে এর কারন জিজ্ঞাসা করলে মেয়েটি ঘটনা খুলে বলেন। পরে বিষয়টি মেয়েটির পরিবারের লোকজন ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করলে স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসাার চেষ্টা করেন তিনি।

ছেলের চাচা নজরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়ভাবে একমাস আগে মেয়ের সাথে ছেলের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাঙ্গাঁ মটুকপুর ইউনিয়নের বিয়ে রেজিস্টার (কাজী) গোলাম ফারুক বিয়ে রেজিস্ট্রি করান। মেয়ের বাচ্চা প্রসব না হওয়া পর্যন্ত তার খরচ বাবদ ৮০ হাজার টাকা স্থানীয় সাইদুল ইসলামের হাতে দেওয়া হয়েছে। বাচ্চাঁ প্রসবের পরে শরিয়া মোতাবেক তারা আনুষ্ঠানিক ভাবে মেয়েকে ছেলের বাড়ীতে নিয়ে আসবেন বলেও জানান। তবে কি কারনে মেয়ের পরিবার থানায় মামলা করেছেন বিষয়টি তিনি বুঝতে পারছেননা বলেও জানিয়েছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম ভুট্টু বলেন, দুই পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে তাদের বিয়ে হয়েছে। বাচ্চা প্রসবের ৪০ দিন পর শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয়ে মেয়েকে সন্তানসহ ছেলের পরিবার গ্রহণ করার কথা।

ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ উন নবী জানান, শিক্ষার্থীর চাচা রবিউল ইসলামের বাদী হয়ে ডোমার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং-১৭। সেই মামলায় অভিযুক্ত আসামী মোস্তাকিন ইসলাম ফরিদকে ডিমলা উপজেলার মতির বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার বিকেলে আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ ও ভিকটিম ছাত্রীটিকে মেডিকেলে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

এবিএন/মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ