আজকের শিরোনাম :

কবর দেওয়ার ২৮ বছর পর অক্ষত মরদেহ উদ্ধার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:১২

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ২৮ বছর আগে দাফন করা এক ব্যক্তির অক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় মরদেহ এবং কাফনের কাপড়ও ছিল অক্ষত।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ডেঙ্গুরভিটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুনরায় ওই মরদেহ দাফন করেন গ্রামবাসী।  

জানা যায়, উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ডেঙ্গুরভিটি গ্রামের বাসিন্দা মো. সাহেব আলী খান ৭২ বছর বয়সে ১৯৯৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। পরে তাকে গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।

মরহুম সাহেব আলী খানের ছেলে মোবারক হোসেন খান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকি। আমার গ্রাম থেকে ফোনে আমাকে জানানো হয়েছে আমার বাবার কবরের ওপর দিয়ে রাস্তা যাচ্ছে। আমি কয়েক বার স্বপ্নেও দেখেছি বাবা বলেছে আমার কবরের ওপর দিয়ে রাস্তা যাচ্ছে, তুমি আমার কবরটা এখান থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর কর। তখন আমি আমার চাচা এবং গ্রামের লোকজনকে বলেছি আমি দেশে আসলে আমার বাবার কবরটা এখান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করব।  

পরে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) আমি ইটালি থেকে দেশে এসে স্থানীয় আলেমদের সঙ্গে কথা বলে ধর্মীয় নিয়ম মেনে আত্মীয় স্বজন ও এলাকার লোকজন নিয়ে সকাল ১১টার দিকে প্রতিবেশীদের নিয়ে কবরের কাছে যাই। কবর খুঁড়তেই সাদা কাপড় দেখতে পাই আমরা। একপর্যায়ে অক্ষত মরদেহ দেখে ওই জায়গা থেকে উত্তোলন করে আমার মায়ের কবরের পাশে দাফন করি। ২৮ বছর পরও বাবার মরদেহ অক্ষত দেখে সবাই প্রথমে হতভম্ব হলেও পরে বুঝতে পারি এটা আল্লাহর রহমত।

তিনি আরও বলেন, আমার বাবা সাধারণ মুসল্লি ছিলেন। অনেক পরহেজগার ছিলেন তিনি। মরদেহ কবর থেকে তোলার পর দেখি কাফনের কাপড়ও পচেনি। ধরে দেখি কাপড়ের ভেতরে শুকনো দেহ রয়েছে। প্রতিটি হাড়ের জোড়া শক্ত। হাত-পায়ের জোড়া বিচ্ছিন্ন হয়নি। এদিকে, ২৮ বছরে মরদেহ কবরে অক্ষত থাকার খবর শুনে ওই বাড়িতে ভিড় জমান এলাকাবাসী।

ডেঙ্গুরভিটি প্রামের বাসিন্দা আব্দুল গনি, ফজলুল হক ও ফয়সাল আহাম্মেদ বলেন, মো. সাহেব আলী খানের মরদেহ অলৌকিকভাবে ২৮ বছর পর অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ধর্মীয় রীতি মেনে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে আবার দাফন করা হয়েছে।

ছেংগারচর বাজার আন-নুর ইসলামীয়া মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ ক্বারী মাওলানা মো. মাইনুদ্দিন খান বলেন, আল্লাহ নানাভাবে তার কুদরতের নিদর্শন দেখান। হয়তো এটিও আল্লাহর একটি নিদর্শন। এমনও হতে পারে মো. সাহেব আলী খান আল্লাহর গ্রহণযোগ্য বান্দা ছিলেন। হয়তো তিনি মানুষের হক মেরে খান নাই এবং হালাল উপার্জন দিয়ে জীবনযাপন করেছেন। তাই অলৌকিকভাবে মরদেহ অক্ষত রয়েছে।  

এ ধরনের মরদেহের গোসল ও জানাজা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী স্থানান্তর করে দাফন করে দিলেই হয় বলে জানান মাওলানা মো. মাইনুদ্দিন খান।

এবিএন/মাসুম হাসান/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ