আজকের শিরোনাম :

বোয়ালখালীতে ফসলি জমিতে বালুর ব্যবসা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৪৬

বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের এক ব্যক্তি বালির ব্যবসার জন্য ভাড়ায় লাগিয়ত করেছেন ফসলি জমি। ফসলি জমি রক্ষায় দারস্থ হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে।

তাদের অভিযোগ ওই গ্রামের দয়াল ঘোষ তার জমিতে বালু ব্যবসার জন্য লাগিয়ত করেছেন। ফলে কর্ণফুলী নদী থেকে ওই জমিতে ড্রেজার থেকে বালু তোলার ফলে আশপাশের সমস্ত জমি অনাবাদি হয়ে যাবে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ওই গ্রামের শতাধিক মানুষ। 

গ্রামের বাসিন্দা নির্জ্বল ঘোষ ও তাপস বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের রেণু ঘোষ বাড়ীর ২২টি পরিবার কৃষি জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন। একই বাড়ির দয়াল ঘোষ তার জমিতে বালু ব্যবসার জন্য লাগিয়ত করেছেন। তার এই জমিতে ড্রেজার থেকে পাইপ দিয়ে বালু ফেলা হলে পাশ্ববর্তী জমিগুলোতে আর চাষযোগ্য থাকবে না। এছাড়া ওই ২২ পরিবারের ব্যবহারের কোনো পুকুর নেই। যাও আছে তা হল একটি চৌবাচ্চা। বালু ফেললে তাও ভরাট হয়ে যাবে।’

দয়াল ঘোষ বলেন, ‘আমার জমিতে বর্ষা মৌসুমে চাষ হয় না। এসময় পানিতে ডুবে থাকে। তা ভরাট করা উদ্দেশ্যে বালু ব্যবসায়ীদের নিকট নির্ধারিত সময়ের জন্য লাগিয়ত করছি। চুক্তি অনুযায়ী তারা জমিটি ভরাট করে দেবেন এ জন্য কোনো প্রকার টাকা দাবি করবে না। ’  

জানা গেছে, শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী ফসলি জমিতে শীতকালীন শাক-সবজি, ডাল জাতীয় ফসল ও আমন ধানের চাষ হয়ে থাকে। চাষাবাদ অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার গ্রহণের জন্য গত আগস্ট মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গ্রামবাসী।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী ফসলি জমিতে বালু ব্যবসায়ীরা ২৪টির বেশি বালুর অবৈধ মহাল গড়ে তুলেছেন। কর্ণফুলী নদী থেকে বালু উত্তোলণ করে ফসলি জমিতে পাইপ দিয়ে তোলা হয়। এরপর তা ট্রাকে করে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। এতে নদীর তীরে ভাঙন ও ফসলি জমি অনাবাদি হয়ে পড়ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে আগামী সোমবার উভয়পক্ষকে ডাকা হয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’ 

এবিএন/রাজু দে/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ