আজকের শিরোনাম :

বিএনপি কখনো জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে পারবে না : আইনমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১০

বিএনপি জনগণের ভোটে কখনো ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কিন্তু তারা ষড়যন্ত্র করে পারে, ষড়যন্ত্র করে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করতে পারে। সেটা রুখতে হলে আপনাদের সজাগ থাকতে হবে, আপনাদের জনগণের পাশে থাকতে হবে। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, আপনারা নিজেদের মধ্যে দলীয় কোন্দল করবেন না। আমরা সবাই আওয়ামী লীগ পরিবারের মানুষ। আওয়ামী লীগ পরিবার বায়েকে এবং কসবায় থেমে থাকে নাই। আওয়ামী লীগ পরিবার টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত, বেনাপোল থেকে আখাউড়া পর্যন্ত। আমরা সকলেই এই পরিবারের সন্তান। 

মন্ত্রী আওয়ামী লীগের তৃণমুলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তারা মনে করেছিল প্রথমে আওয়ামী লীগকে হত্যা করবে। তারপর বাংলাদেশকে হত্যা করবে। কিন্তু আপনারা দেখেছেন যদিও সেইদিন খন্দকার মোস্তাক আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়েই সরকার গঠন করেছিল। কিন্তু তৃণমূল আওয়ামী লীগের জন্য আওয়ামী লীগের সর্বনাশ করতে পারে নাই বিধায় বাংলাদেশেরও সর্বনাশ করতে পারে নাই। সেইজন্যই আপনাদের বলি আপনাদের ঐক্য থাকা অত্যন্ত জরুরী। কারণ তৃণমূলই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি। 

মন্ত্রী আরো বলেন, ২৫ জুন ২০২২ মাননীয় প্রধান মন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন। এই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের টাকার পদ্মাসেতু। বিএনপি বলেছিল পদ্মা সেতুতে গাড়ী চলবে না। এটা ভেঙে পরবে। বর্তমানে তারাও গাড়ী চালিয়ে এই পদ্মা সেতু দিয়ে যাওয়া-আসা করে। খালেদা জিয়া মনে করেছিল, তাঁদের মতই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের সময়ে একটি ছোট ব্রিজ বানাতে গেলেও এমপি সাহেব খেতো, মন্ত্রী সাহেব খেতো, ছেলে সাহেব খেতো, তারপর তিনি নিজে খেতেন। তিনি এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন। শেখ হাসিনা এ রকম নয়। শেখ হাসিনা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা। তিনি মানুষের টাকা মানুষকে বুঝিয়ে দেন। 

মন্ত্রী বলেন, আমি বাংলাদেশের দুই - দুই বারের আইনমন্ত্রী, আমি আইনের মধ্যেই চলি। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আমাকে দুইবার আইনমন্ত্রী বানিয়েছেন। আমি আইনের বাহিরে কোন কাজ করি না। সেটা আওয়ামী লীগের আইন হোক, যুবলীগের আইন হোক, ছাত্রলীগের আইন হোক, এমনকি দেশের আইন হোক। আমি যদি বে-আইনী কাজ করি তাহলে জনগন বলবে আইনমন্ত্রী হয়ে বে-আইনী কাজ করি। 

বিএনপির উদ্দেশ্যে আইন মন্ত্রী বলেন, তারা যখন খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে যেতে চেয়েছিল, আমি ব্যক্তিগত ভাবে একবারও বলিনি তাকে বিদেশ নিয়ে যেতে পারবে না। আমি বলেছি, আইনানুসারে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। আমি চ্যালেঞ্জ করেছি, তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার আইনটি আমাকে দেখানো হউক। কিন্তু কেউ আমাকে সেই আইন দেখাতে পারেনি। 

বায়েক ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আনোয়ারুল করিমের  সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল কাওসার ভুইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ছিদ্দিকা, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবদুল আজিজ, মহিলা সদস্য রুমানুল ফেরদৌসী, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলাম। 

অনুষ্ঠানে বায়েক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। 

এবিএন/মো. অলিউল্লাহ সরকার/জসিম/গালিব 

এই বিভাগের আরো সংবাদ