বিশ্বম্ভরপুরে গাছতলায় পাঠশালা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৩, ১১:৪৭

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নের বাঘমারা ললিয়াপুর নুরে মদিনা চার গ্রাম মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের ভবন সংকটের কারণে পাঠদানের কার্যক্রম চলছে গাছতলায়। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নের বাঘমারা, ললিয়া পুর, কাটাল বাড়ি ও চান্দারগাও (চারগাও নুরে মদিনা) মাদ্রাসাটি গত দুই বছর আগে (সিএনবি) রাস্তার উপর একটি ছোট টিন শেড ঘরে এলাকার শিক্ষানুরাগী মানুষদের সুপরামর্শে ও স্ব উদ্যোগে এ মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। গত দুই বছরে এ মাদ্রাসাটি ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রমে বেপক সুনাম অর্জন করলে বর্তমানে ওই মাদ্রাসাটিতে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিনদিন ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুযায়ী মাদ্রাসাটিতে শ্রেণীকক্ষ না থাকার ফলে ওই বৃষ্টির দিনেও শিক্ষার্থীদের গাছতলায় বসিয়ে শিক্ষকরা পাঠদানের কর্যক্র চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এ মাদ্রাসায় শতাদিক ছাত্র-ছাত্রী চারটি ক্লাসে শিক্ষা গ্রহণ করছে। এলাকাবাসীর আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ মাদ্রাসাটি ৫ জন শিক্ষকের দ্বারা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। 

এ মাদ্রাসাটির শিক্ষা কার্যক্রম দেখে ললিয়াপুর (নতুর হাটি) গ্রামের অতান্ত শিক্ষানুরাগী স্বালিসি ব্যাক্তিত মৃত আব্দুল বারীর চার সন্তান  (আঃ বাসিত এ জি এম অগ্রনী ব্যাংক সিলেট দঃ অঞ্চল, আঃ ওয়াদুদ, আঃ ওয়ালিদ, মোঃ মিজানুর রহমান) মিলে ৩০ শতক জমি মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দান করেন। অত্র এলাকার মানুষের আর্থিক সহযোগিতায় ঐ জমিতে মাটি ভরাট করে একটি ছোট টিন শেড ঘর নির্মাণ করে। কিন্তু ঐ ছোট একটি টিনসেড ঘরে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়ার স্থান সংকুলতার কারণে বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীদের গাছ তলায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। একটু রোদের হাসি দেখলে গাছতলায় চলে পাঠা দান, বৃষ্টিস্নাত আবহাওয়া দেখেই বন্ধ হয়ে যায় পাঠ দানের কার্যক্রম।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন জানান, আমাদের এ মাদ্রাসাটি নানা সমস্যার সম্মুখীন। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে ঘড়ের সংকট। একটি টিন শেড ঘড় তৈরি করে বেরা (ঘরের চার পাশের দেয়াল) দিতে পারতেসি না। তাই সমাজের অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের ছেলে মেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষা প্রসারের জন্য সমাজের বৃত্তবান ও শিক্ষানুরাগী দানবীরদের কাছে অনুরোধ করছি মাদ্রাসাটিতে সাহায্য ও সহযোগী করার জন্য। পাশাপাশি হাওরাঞ্চলে দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা-কার্যক্রম প্রসারে সরকারেরও সুদৃষ্টি কামনা করছি। 

এ বিষয়ে মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা হুমায়ুন কবির বলেন, এ মাদ্রাসাটি নানাবিধ সংকট মোকাবেলায় করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়ার সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দিতে নানাদিক সমস্যার সম্মুখীন। তাই সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইদের প্রতি আমার অনুরোধ রইল (মুহতামিম বিকাশ মোবাইল নম্বর -০১৭২২০৩২৯৮৭) নাম্বারে আর্থিক সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দিয়ে মাদ্রাসাটির শিক্ষা-কার্যক্রম সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য।

এবিএন/অরুন চক্রবর্তী/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ