মুন্সীগঞ্জে ১৫ ঘণ্টা পর ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ১৩:১১

মুন্সিগঞ্জের পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি ১৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার করে নদীর তীরে আনা হয়েছে। সকাল থেকেই ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধারের কাজ করে বিআইডব্লিউটিএ, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল। 

তবে ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো পাঁচজন নিখোঁজ থাকলেও উদ্ধার হওয়া ট্রলারে কাউকে পাওয়া যায়নি।

রবিবার (৬ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুল মতিন।

তিনি বলেন, গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দুইটা পর্যন্ত আমাদের উদ্ধার অভিযান চলেছে। পরে কিছু সময় বন্ধ রেখে ভোর থেকে আবারো উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়। আজ রবিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ট্রলারটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই। তবে নিখোঁজ কাউকে ট্রলারে পাওয়া যায়নি।

গতকাল শনিবার (৫ আগস্ট) রাতে ট্রলারটি ডুবে যায়। ওই রাতেই চারজন শিশুসহ ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এখনো পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন। ট্রলারটি উদ্ধারের সময় সেখানে নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, এ ঘটনায় মৃত ৮ জনই সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের বাসিন্দা। তারা হলেন হ্যাপি আক্তার (২৮), হ্যাপির বোন পপি আক্তার (২৬), রাকিব (১২), তার ভাই সাকিব (৮), মোকসেদা (৪০), সাজিবুল (৫) ও ফারিহান (১০)।

উল্লেখ্য, মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখানের লতব্দী ইউনিয়নের কয়েকটি পরিবারের ৪৬ জন ট্রলার নিয়ে পদ্মা নদীতে ঘুরতে যায়। পদ্মায় ঘুরাঘুরি শেষে বালিগাওয়ের ডহরী খাল দিয়ে রাত ৮টার দিকে বাসায় যাওয়ার পথে হঠাৎ করে বেপরোয়া বালু বহনকারী বাল্কহেড এসে ট্রলারে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়। অনেকেই সাঁতরে তীরে এসে পৌঁছান। ফায়ার সার্ভিস এসে ৩৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। রাত দুইটা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

এবিএন/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ