মুন্সিগঞ্জে ট্রলারডুবি : উদ্ধার অভিযানে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৫২ | আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৫৯

মুন্সিগঞ্জের খিদিরপাড়া লৌহজং এলাকায় পদ্মা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে কয়েকজন। তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল। 

রোববার (৬ আগস্ট) সকালে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয় ডুবুরি দলের সদস্যরা।

রোববার (৬ আগস্ট) সকালে এ তথ্য জানান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক সাইদা তাপসী রাবেয়া লোপা।

তিনি জানান, মুন্সিগঞ্জের পদ্মা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল। সকালে তারা অভিযানে অংশ নেয়।

উল্লেখ্য, শনিবার (৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় একটি পিকনিকের ট্রলার ডুবে যায়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত আট জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর পরিচয় মিলেছে। মৃতদের মধ্যে শিশুসহ চারজন নারী ও চারজন পুরুষ রয়েছেন।

উদ্ধার হওয়া মৃতরা হলেন- মোকসেদা (৪২), পপি (২৬), শাকিব (৮), হ্যাপি (২৮), রাকিব (১২), সাজিবুল (৪), ফারিহান (১০) ও সজীব। তারা সবাই সিরাজদিখান উপজেলার লতাব্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা।

এ দুর্ঘটনায় ৩৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন পাঁচজন। তাদের উদ্ধারে কাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু শনিবার রাত হয়ে যাওয়ায় আর নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় ডুবুরিদের উদ্ধার কাজ চালাতে বেগ পেতে হয়। নিখোঁজদের উদ্ধারে এবার যোগ দিলো নৌবাহিনীর ডুবুরি দল।

জানা যায়, পদ্মা নদীর মাওয়া পয়েন্ট থেকে সিরাজদিখান এর দিকে যাচ্ছিলো পিকনিকের ট্রলারটি। রাত আটটার দিকে ঈদের পাড়া ইউনিয়নের রসকাটি এলাকায় পৌঁছালে অন্ধকারে একটি বালুবাহী বাল্কহেড ট্রলারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে যাত্রীসহ ডুবে যায় ট্রলারটি।

এসময় অনেকে সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হয় বাকিরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।  

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ট্রলারটিতে ৪৬ জন যাত্রী ছিল। এ ঘটনায় প্রথমে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে আরও দুই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে ৪ নারী ও ৪ জন পুরুষ। এদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
 
দুর্ঘটনার পর পরই ট্রলারের যাত্রীদের স্বজনরা নদী পাড়ে চলে আসেন। সেখানে নিহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা আহাজারি করছেন। মরদেহ উদ্ধারের খবর শুনলেই তারা সেখানে ছুটে যাচ্ছেন।

মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারটিতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল। ট্রলারডুবির পরই স্থানীয়রা উদ্ধার কাজে নেমে পড়েন। পরে তাদের সাথে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও কোস্টগার্ড।

ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসক আবু জাফর রিপন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান ও লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আউয়ালসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা রয়েছেন। তারা উদ্ধার কাজ তদারকি করছেন।
 

এবিএন/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ