ফুলবাড়ীয়ার বড়বিলায় কচুরিপানায় পঁচে যাচ্ছে শাপলা ও পদ্মা ফুলের গাছ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৩, ১৯:০২

ময়মনসিংহের সর্ববৃহৎ বদ্ধজলাভূমি ফুলবাড়ীয়ায় বড়বিলা ছেয়ে গেছে কচুরিপানায়। তলিয়ে গেছে পদ্মা ও শাপলা ফুলের গাছ পঁচে যাচ্ছে গাছের গুড়া। সৌন্দর্য হারিয়ে যাচ্ছে পদ্ম, শাপলা, শালুক, জলজ প্রাণীসহ দেশি প্রজাতির সুস্বাদু মাছের স্বর্গরাজ্য খ্যাত  ঐতিহ্যবাহী বড়বিলার সৌন্দর্য। হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য।   

এখন আষাঢ় মাস। দিগন্ত জোড়া চোখ মেলে দেখা বিস্তৃত জলরাশিতে যেখানে ছিল শাপলার আর পদ্ম ফুলের সমারোহ,  সেখানে এখন ক্যাবলি কচুরিপানা। যেটুকু ফুলের দেখা পাওয়া য়ায় সেটুকু গুড়া উগলে ফেলায় ভাসমান মৃত পদ্ম শাপলা ফুল গাছগুলি। বর্ষায় দৃষ্টির সীমানায় শুধু পানি আর পানি। সেই পানিতেই ফুটে থাকা অজ¯্র লাল শাপলা আর লাল সাদা মিছরিত ও সাদা পদ্ম ফুল দেখতেই সমাগম ঘটে দেশ বিদেশী পর্যটকদের। পাল তোলা  ছোট নৌকা আর কুন্দায় করে পুরো বিলে ছুটে চলার সাথে ফুলের  সৌন্দর্য উপভোগ, শাপলা পদ্ম ফুল তোলে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় ছবি তোলে ফেসবুকে আপলোড দেওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতো আগত দর্শনার্থীরা। বর্তমানে বিলে পদ্মা ফুলের গাছ ঢেকে গেছে কচুরিপানায়। বিলের সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলেছে কচুরিপানায় কাছে। কচুরিপানার চাপে পঁচে যাচ্ছে শাপলা, পদ্ম ফুল গাছ। দূরদূরান্ত  থেকে আসা দর্শনার্থীরা বিলের মধ্যে ঘুরতে পারছে না নৌকা নিয়ে। বিলের মাঝখানে গিয়ে ফুল মাঝে বসে তোলতে পারছেন ছবি।  শ্রমহীন হয়ে পড়ছে বিল পাড়া বসবাস করা অসহায় দরিদ্র সাধারণ মানুষ। বিল পাড়ের মানুষ যাদের জীবন জীবিকা চলে বিলের মাছ ধরার উপর নির্ভর করেন। তারা অসহায় হয়ে পড়েছে। মাছ ধরতে পারছে না আগের মতো। অক্সিজেনদের অভাবে মরে যাচ্ছে মাছ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিলের যে অংশে গুদারাঘাট য়য়েছে (যেখান নিয়ে নৌকায় পাড়াপড় হয়) তার দক্ষিণাংশে বাঁশ দিয়ে কচুরিপানা আটকে রাখা হয়েছে। যে কারণে বিলের দক্ষিণাঞ্চল ঢেকে গেছে কচুরিপানায়। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে জমি আবাদ।
  
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরা মেম্বার বলেন, এলাকার মানুষ খুবক্ষিপ্ত বাঁশ দিয়ে কচুরিপানা আটকের কারণে। এ অংশে সাধারণ মানুষ সপ্তাহে এক দুইদিন “বাওয়া” বাইতো (দল বেঁধে মাছ ধরতো)। এখানে সেখানে কচুরিপানা। যার পলে পঁচে যাচ্ছে শাপলা ও পদ্ম ফুলের গাছ।

৮নং রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মুক্তা বলেন, প্রতিবছরই এভাবে জালপাতা হয়  যাতে বিলের  মাছ উজানে চলে যেতে না পরে, আবার ছেড়েও দেয় ।  
উপজেলা হির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদুর করিম বলেন, এভাবে বাঁশ দিয়ে জাল পেতে কচুরিপানা আটক করা যাবে না আমরা মন্ত্রনালয়ে লিখেছি যাতে বাঁশের বাঁধ অপসারণ করা হয়। 
  
এবিএন/হাফিজুল ইসলাম স্বপন/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ