প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সহকর্মীর আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৩, ০৯:৩৭

ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বেগুনজোয়ার উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস রুমে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সহকর্মী এক শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনার ঝড় বইছে।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেলে এই ঘটনায় জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। এ ছাড়া ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী- অভিভাবকদের পক্ষে শেখর আহমেদ নামের এক ব্যক্তিও অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেলার বদলগাছী উপজেলার বেগুনজোয়ার উচ্চবিদ্যালয় একটি ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান। এ বিদ্যালয়টি তিনটি ইউনিয়নের শেষ সীমানায় ছোট যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় বিদ্যালয়ে তিনটি ইউনিয়ন থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে থাকে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবৎ অত্যন্ত নারী লোভী, অবৈধ ক্ষমতা বিস্তারকারী এবং অর্থলোভী প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামিম আহমেদ (মিঠু) বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছেন এবং বেশ কয়েকবার বিচারের মুখোমুখি হয়েছিলেন।

কিন্তু কিছু অদৃশ্য শক্তির কারণে ছাড় পেয়ে বিদ্যালয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন তিনি। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা. রিফাত আরার সঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অফিস রুমে অনৈতিক কার্যকলাপ করে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার পর ম্যানেজিং কমিটির নিকট অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না তারা।

অভিযোগকারী শেখর আহমেদ বলেন, ম্যানেজিং কমিটিও একটি পুতুল কমিটি হিসেবে রয়েছে। যা বিগত কয়েক বছর যাবৎ অভিভাবকের আশা-আকাঙ্ক্ষার কমিটি গঠন হয়নি। এমতাবস্থায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামিম আহমেদের (মিঠু) সঙ্গে সহকারী শিক্ষিকা মোছা. রিফাত আরার অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামিম আহমেদ (মিঠু)

তিনি আরও বলেন, গত দুই বছর আগে ভগবানপুর গ্রামের এক ছাত্রীকে শিক্ষা সফরে নিয়ে গিয়ে এ রকম ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে মান-সম্মানের ভয়ে ওই ছাত্রীর অভিভাবক তড়িঘড়ি করে বাল্যবিয়ে দেয়। গত বছর বসন্তপুর গ্রামের এক ছাত্রীর সঙ্গে একই ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মেয়ের পরিবার মামলা করতে চাইলে ১০ লাখ টাকা দিয়ে তা বন্ধ করে। এমন বেশ কয়েকটি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রধান শিক্ষক মিঠু। আমি এলাকার একজন সচেতন মানুষ হিসাবে এই ঘটনার ভিডিও ক্লিপ দেখে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামিম আহমেদ (মিঠু) তার অফিস রুমে চেয়ারে বসা ছিল এবং পাশের চেয়ারে বসেছিলেন সহকারী শিক্ষিকা রিফাত আরা। এর কিছুক্ষণ পর প্রধান শিক্ষক মিঠু চেয়ার থেকে উঠে এসে সহকারী শিক্ষিকা রিফাত আরার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। আপত্তিকর এমন বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষিকা মোসা. রিফাত আরা তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, কে বা কারা আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যে অভিযোগ তুলেছেন জানি না। তবে ভিডিওর বিষয়ে তিনি কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারে নাই।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামিম আহমেদের (মিঠু) মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি এবং বুধবার তার বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, অভিযোগটি এখনও আমার হাতে আসেনি। হাতে এলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এবিএন/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ