পাকুন্দিয়ার কামারশালায় বেড়েছে ব্যস্ততা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৩, ১৫:২২

আগামী ২৯ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় কামারশালাতে  ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের। কোরবানির পশুর গোস্ত কাটতে দা, বটি, ছুরি ও চাপাতি  তৈরি ও ধাতব সরঞ্জামাদী শান দিতে  কামার পাড়াগুলোতে ভিড় বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সরেজমিনে উপজেলার পৌরসদর, মির্জাপুর, হোসেন্দী, মঠখোলা বাজারের বিভিন্ন কামারশালায় দেখা যায়, কেউ ভারি হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন দগদগে লাল লোহার খন্ড। কেউ শান দিচ্ছেন, কেউবা আবার কয়লার আগুনে বাতাস দিচ্ছেন। এক রকম পাল্লা দিয়ে কাজে নেমেছেন তারা। কেউ তৈরি করছেন দা, কেউ বা তৈরি করছেন চাপাতি আবার কেউ কেউ তৈরি করছেন ছুরি। আর এসব জিনিস সারিবদ্ধভাবে দোকানের সামনে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। 

কামারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আকৃতি ও লোহা ভেদে দা ১০০ থেকে ৫৭০ টাকা, ছুরি ৫০ থেকে ৪২০ টাকা, ছোরা প্রতিটি সর্বোচ্চ ৮০ টাকা, হাড় কোপানোর চাপাতি এক একটি ৩৫০ থেকে ৬৫০ টাকা এবং ধার দেয়ার স্টিল প্রতিটি ১০০ টাকা করে বেচাকেনা হচ্ছে। পুরনো যন্ত্রপাতি শান দিতে বা ‘পানি’ দিতে ২৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। 

 মির্জাপুর  বাজারের কামার  সুবল কর্মকার (৪৫) বলেন, আমি প্রায় ২০ বছর ধরে এ পেশায় নিয়োজিত। ঈদকে কেন্দ্র করে আমরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছি। আগে প্রতিদিন আমার ৪০০ টাকা বিক্রি হতো, এখন ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত জিনিস বিক্রি হচ্ছে। এবার কোরবানির ঈদে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে  আশা করছি।

কামারশালায় আগত শরীফ (৩২) নামের এক ক্রেতা বলেন, কয়েক দিন পরেই তো ঈদ। আগে থেকে  ছুরি, ও চাপাতি কিনে রাখছি এবং দা, বটি নিয়ে এসেছি শান দেওয়াতে যাতে কোরবানির দিন কোন অসুবিধে না হয়।

এবিএন/শরীফ আহম্মেদ/জসিম/গালিব 

এই বিভাগের আরো সংবাদ