ত্রিশালে কচু ফসলের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৩, ১০:৪৩

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে বারি উদ্ভাবিত কচু ফসলের বিভিন্ন উন্নত জাতের ওপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার ময়মনসিংহের ত্রিশালের রামপুর গ্রামে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। ‘কচু ফসলের জিন পুল সমৃদ্ধ, গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও উন্নত জাত বিস্তারের মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদারকরণ কর্মসূচি’র অর্থায়নে আয়োজিত এ মাঠ দিবসের আয়োজন এলাকার ৫০ জন কৃষক-কৃষানি অংশ নেন।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ  সরকার প্রধান অতিথি থেকে মাঠ দিবসের উদ্বোধন করেন। বারির কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. সোহেলা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সরেজমিন গবেষনা বিভাগ গাজীপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাড. মো. মাজহারুল আনোয়ার। 

প্রধান অতিথি ড. দেবাশীষ  সরকার কচু ফসলের পুষ্টির গুরুত্ব তুলে ধরে রক্ত শূন্যতা দূর করতে কচু বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত কচু ফসলের জাতগুলো গলায় ধরে না এবং সমানভাবে সিদ্ধ হয়, কোনো কচকচে ভাব থাকে না। পানিকচুর লতি ও মুখী কচু দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে ড. সোহেলা আক্তার বলেন, পানিকচুর নতুন জাত বারি পানি কচু-৭ এর গুণাগুণ বর্ণনা করে বলেন, এই জাতটি মূলত রাইজোম বা কান্ড উৎপাদন করে এবং অল্প পরিমাণে লতিও উৎপন্ন হয়। জাতটির রাইজোম কাঁচা অবস্থায়ও খাওয়া সম্ভব। তাই এ এলাকার কৃষক-কৃষাণীরা বারি উদ্ভাবিত পানি কচুর জাতগুলোর উচ্চ ফলনশীলতা ও উন্নত গুণাগুণের কারণে চাষাবাদে উৎসাহিত হয়েছেন।

কৃষক গিয়াস উদ্দিন কচু চাষে তার সফলতা এসেছে বলে জানান। এই চাষী আরো জানান, প্রথম বারের মতো বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরামর্শে তার ২০ শতাংশ জমিতে কচু চাষ করেছি। এতে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ১৮ হাজর টাকার কচু বিক্রি করেছি। আশা করা যাচ্ছে আরো ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত কচু বিক্রি করা যাবে।

তিনি আরো বলেন, আমার কচু চাষ দেখে এলাকার অন্যান্য কৃষকরাও আগ্রহী হচ্ছে। কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউটের পরামর্শে কচু চাষ করলে অনেক লাভবার হওয়া সম্ভব।

মাঠ দিসব অনুষ্টানে আরো উপস্থিত ছিলেন সরেজমিন বিভাগ ময়মনসিংহের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: মনিরুজ্জামান, ত্রিশাল উপজেলা কৃষি অফিসার তানিয়া রহমান, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: এমরাউল ইসলাম প্রমুখ।

এবিএন/মো: মঈন উদ্দিন রায়হান/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ