আজকের শিরোনাম :

মায়ের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত সিরাজুল আলম খান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৩, ০০:৫৫

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর গ্রামে মায়ের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান। শনিবার ( ১০ জুন ) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আলীপুর গ্রামের সাহেব বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মা সৈয়দা জাকিয়া খাতুনের কবরে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বেগমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সিরাজুল আলম খানের তৃতীয় ও শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের শাড়িতে মুড়িয়ে তাকে দাফন করা হয়। জানাজার আগে সিরাজুল আলম খানকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করেন বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত।

শুক্রবার (৯ জুন) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান সিরাজুল আলম খান। এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয় তাকে।

গত ৭ মে রাতে শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা নিয়ে ঢাকার পান্থপথে শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি হন সিরাজুল আলম খান। চিকিৎসকদের পরামর্শে গত ২০ মে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এই প্রবীণ রাজনীতিবিদকে। শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়ায় সিরাজুল আলম খানকে ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় নেয়া হয় লাইফ সাপোর্টে।

১৯৬৩ সালে সিরাজুল আলম খান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। জাতীয়তাবাদী চেতনাকে বিকশিত করে বাংলাদেশীদের স্বাধীন জাতীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ’৬২ সালে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে যে নিউক্লিয়াস গড়ে উঠে তিনিই ছিলেন তার মূল উদ্যোক্তা। এই নিউক্লিয়াসের সদস্য ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমেদ। তারপর মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এই নিউক্লিয়াসের মাধ্যমে সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন।

ছয় দফার সমর্থনে জনমত গঠনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন সিরাজুল আলম খান।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ