আজকের শিরোনাম :

চিলমারীতে আদার কেজি ৪শ টাকা,বাজারে কর্তৃপক্ষের নেই কোন তদারকি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৩, ১৮:০০

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ঈদ উল আযহার সামনে তরতর করে বেড়ে উঠছে আদা ও পেয়াজের দাম। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বর্তমান খুচরা বাজারে আদা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩২০-৪০০টাকা ও পেয়াজ প্রতিকেজি ৮০টাকা দরে। 

ক্রেতাদের অভিযোগ ঈদকে সামনে রেখে হঠাৎ করেই বাজারে আদার দাম কেজিপ্রতি ১২০-২০০টাকা ও পেয়াজের দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে। এছাড়াও রশুন,মরিচ,চিনি ও মসলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে সাধারন ক্রেতারদের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরী করে অধিক মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করলেও কর্তৃপক্ষের তদারকি নেই বলে ক্রেতাদের দাবী। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন,পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে সরবরাহ কম এবং পরিববহন ব্যয় বেশি হওয়ায় বাজারে আদা এবং পেয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। 
রোববার উপজেলার থানাহাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে,বাজারে কয়েকদিনের তুলনায় আদা এবং পেয়াজের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে মরিচ,রশুন,চিনি ও মসলাসহ বিভিন্ন দ্রব্যের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আদা প্রতিকেজি ৩২০-৪০০টাকা ও পেয়াজ প্রতিকেজি ৮০টাকা,রশুন প্রতি কেজি ১২০টাকা ও মরিচ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

এ সময় পাইকারী সবজি ব্যবসায়ী ছকমল হোসেন বলেন,বাজারে আদা এবং পেয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়া এবং পরিববহন ব্যয় বেশী হওয়ায় বাজারে দাম ওঠানামা করছে। বাইরে থেকে বাজারে ঠিকমত আদা এলে দাম কমে,আর না এলে দাম বেড়ে যায়।উলিপুর,রাজারহাট, বড়বাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আদা নিয়ে এসে ব্যবসায় করছেন বলে জানান তিনি।

কাঁচা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মাসুদ রানা দুদু,সুমন মিয়া,রুস্তম আলী,মাইদুল ইসলাম,বাবুল মিয়া,আজাদ,শাহ আলম ও নান্টু মিয়াসহ অনেকে জানান,গত ক’দিন আগে প্রতিকেজি আদা ২শ টাকায় বিক্রি হয়েছে এবং পেয়াজ ৫০-৬০ টাকায়। বর্তমানে আদা ৩২০টাকা কেজি দরে কিনে ৪০০ টাকায় বিক্রি করছি। অপরদিকে ৭০টাকা কেজি দরে পেয়াজ কিনে ৮০ টাকায় বিক্রি করছি।

বাজারে আসা সবজি ক্রেতা আলমগীর হোসাইন,সাজু মিয়া,জিয়াউর রহমান জুয়েল ও মনিরুল আলম লিটু বলেন, গত কয়েক দিন আগে আদার কেজি কিনেছি ২০০টাকা। আজ সে আদা কেজিতে ২০০টাকা থেকে বেড়ে ৪০০টাকা হয়েছে, পেয়াজের ক্ষেত্রেও তাই। সরবরাহ সংকটের কথা বলে বেশি দামে আদা ও পেয়াজ বিক্রি করলেও বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের প্রতিটি দোকানে পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্য রয়েছে। কয়েকদিনের ব্যাবধানে কীভাবে কেজিতে দ্বিগুনেরও বেশী দাম বাড়ল এর কোনো সঠিক জবাব নেই ব্যবসায়ীদের কাছে।এছাড়াও রশুন,মরিচ,চিনি ও মসলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে সাধারন ক্রেতারদের হাতের নাগালের বাইরে চলে গেলেও কর্তৃপক্ষের কোন তদারকি চোখে পড়ে না বলেও জানান তারা। 
এ প্রসঙ্গে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মাহবুবুর রহমান বলেন, বাজারগুলোতে  দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। বাজারে আদা ও পেয়াজের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি আমার জানা নেই,খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এবিএন/গোলাম মাহবুব/জসিম/তানভীর হাসান

এই বিভাগের আরো সংবাদ