আজকের শিরোনাম :

বাউফলে চেয়ারম্যানের দাপটে ব্যক্তি মালিকানা জমিতে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৩, ১৯:৩৪

পটুয়াখালীর বাউফলে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে ক্ষমতাবলে কাবিখা প্রকল্পের আওতায় রাস্তা নির্মাণ করছেন ইউপি চেয়ারম্যান। ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। 

রাস্তা নির্মাণ কাজে বাঁধা দিলে চেয়ারম্যানের ভাই আসহসান হাবিব মিন্টুর নেতৃত্বে ভুক্তভোগীদের ওপর লাঠি সোটা দিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠেছে। তাতে মহিলাসহ ৬/৭ জন আহত হন। আহতদেরকে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের তাঁতেরকাঠী  গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। 


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,নাজিরপুর ইউনিয়নের তাঁতেরকাঠী  গ্রামে নুর মোহাম্মাদ হাওলাদার গংয়ের সাথে একই গ্রামের  জালাল খন্দকার গংদের জমি জমা নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বিরোধপূর্ণ ওই জমির ওপর দিয়ে নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম মহসিন কাবিখা (কাজের বিনিময় খাদ্য) প্রকল্পের আওতায় তাঁতেরকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পিছন থেকে জালাল খন্দকার বাড়িমুখী মাটির রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

প্রকল্পের বিধিমতে নিদিষ্ট শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো কথা থাকলেও চেয়ারম্যান তড়িঘড়ি করে  এক্সকাভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে কাজ করছেন।  বিরোধীয় জমিতে রাস্তা নির্মাণে নুর মোহাম্মাদ ও তার ওয়ারিশগণ বাঁধা দিলে ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই ও ইউপি সদস্য মো.আহসান হাবিব মিন্টু দলবল নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে মো. ইদ্রিস হাওলাদার (৫৫) মমতাজ বেগম (৩৫) আকলিমা (২৫)সহ ৫/৭জনকে আহত করা হয়।এঘটনায় নুর মোহাম্মাদ বাদি হয়ে বাউফল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

 
এ বিষয়ে নুর মোহাম্বমাদ বলেন,ওই জমি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। জোড় জবরদস্তি করে জালাল খন্দকারেরা ভোগ করতে চায়। এনিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আদালত যে রায় দিবে আমরা তাই মেনে নিবো। কিন্তু চেয়ারম্যান জোর করে ক্ষমতার বলে আমাদের জমির ওপর দিয়ে তার সমর্থকদের বাড়ির রাস্তা নির্মাণ শুরু করেন। এতে বাঁধা দিলে চেয়ারম্যানের ভাই আসহসান হাবিব মিন্টুর নেতৃত্বে  ১০/১৫ সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করা হয়।

 
এ বিষয়ে নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম মহসিন বলেন,‘ ক্ষুদ্র  বিষয়েও যদি সাংবাদিকরা আসেন তাহলে কাজ করবো কিভাবে?  চেয়ারম্যান আরও বলেন,‘ রাস্তা নির্মাণ হোক,তারপর বসে বিষয়টি মিমাংশা করে দিব।’ 


উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজিব বিশ্বাসের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আল-আমিন বলেন,‘ বিবাদমান জমিতে রাস্তা নির্মাণ করার সুযোগ নেই। এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএ আরিচুল হক বলেন,এবিষয় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এবিএন/মো. দেলোয়ার হোসেন/জসিম/তানভীর হাসান

এই বিভাগের আরো সংবাদ