আজকের শিরোনাম :

তারাগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুলছাত্রী নিহত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৩, ১৪:৪৭

রংপুরের তারাগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মীম আক্তার (১৩) নামে ৮ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। 

গতকাল শুক্রবার দুপুর ৩টার সময় উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের ফাজিলপুর পোড়াবাড়ি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সে ওই গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে ও ফাজিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

নিহতের পরিবার, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে সূত্রে জানা যায়, আলমপুর ইউনিয়নের পোড়াবাড়ি গ্রামের জাহিদুল ইসলামের বসতবাড়ির উপর দিয়ে চলে গেছে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির লাইনের তার। সেই তার ঘরের চালে লাগলে পুরো ঘর বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। মীম আক্তার বিকেল ৩টার দিকে ঘরে পড়ার জন্য গেলে টিনের বেড়ায় বিদ্যুতে আটকে যান। টের পেয়ে মীমের মা পল্লী বিদ্যুতের অফিসে ফোন করলে আধা ঘন্টাপর লাইন বন্ধ করেন। এতে ঘটনাস্থলে মীম মারা যান।

নিহত মীম আক্তারের বাবা জাহিদুল ইসলামের অভিযোগ, বাড়ির উপর দিয়ে বিদ্যুতের যে তার চলে গেছে তা সরানোর জন্য বেশ কয়েকবার পল্লী বিদ্যুতে যোগাযোগ করেছেন জাহিদুল ইসলাম। কিন্তু তার সরানোর জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তার কাছে ৬০ হাজার টাকা চায়। এ টাকা দিতে না পারায় ওই তার সরায়নি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। তিনি আরও বলেন, কারেন্টের তার সরাইলে আইজ মোর ছাওয়াটা মরিল না হয়। পল্লী বিদ্যুতের তার ঘরোত নাগি পুরো ঘর কারেন্ট হয় ছাওয়াটা মরি গেল। ছাওয়াটার সাথে পরিবারের অন্য কায়ো থাকলে তারাও মারা গেলো হয়। ছাওয়াটা মরার পর পল্লী বিদ্যুৎ তার সরাইল আগোত সরাইলে মোর কলিজার টুকরা কোনা মরিল না হয়।

আলমপুর ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রাসেল বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শিশুটির এমন মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। 

পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মনোয়ার হোসেন সুমন বলেন, আমি এখানে কিছু দিন আগে যোগদান করেছি। তিনি করোনার সময় তার সরানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। সে সময় ডিজিএম টাকা চেয়েছিল কিনা তা আমার জানা নেই। তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এবিএন/বিপ্লব হোসেন অপু/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ