প্রেমিকের নামে ধর্ষণ মামলা এসএসসি পরীক্ষার্থীর

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৩, ০৯:২৫

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় প্রেমিক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সাবেক চেয়ারম্যানকে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ করা হয়েছে।মঙ্গলবার বিকেলে আদিতমারী থানায় মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর মা।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন-আদিতমারী উপজেলার বড় কমলাবাড়ি গ্রামের শাখা নেওয়াজ ও তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম, তার ছেলে মিজানুর রহমান মিজান, মনসুর আলী এবং কমলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন আলাল।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বড় কমলাবাড়ি গ্রামের শাখা নেওয়াজের ছেলে মিজানুর রহমান দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেম করছেন। মেয়েটি এখন এসএসসি পরীক্ষার্থী। তিন বছর আগে মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে হয়েছিল। মিজান প্রেমের সম্পর্ক অটুট রাখায় বিয়ের একমাস পরেই প্রেমিকের কথা মতো স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে মেয়েটি। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়েটির সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে জড়ায় মিজান। বিষয়টি উভয় পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন মিজান ও তার পরিবারের লোকজন। মিজান ও তার পরিবারের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক গত ১৮ এপ্রিল প্রথম স্বামীকে তালাক দেন ওই স্কুলছাত্রী। তালাকের একদিন পর প্রেমিক মিজান ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন আলালের খালাত বোনকে বিয়ে করেন। খবর পেয়ে বিয়ের দাবিতে ওই বাড়িতে অবস্থান নেয় স্কুলছাত্রী। বিয়ের দাবিতে অনশনে থাকায় চলতি এসএসসি পরীক্ষায়ও অংশ নিতে পারেনি সে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, কমলাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন আলাল প্রেমিক মিজানকে অন্যত্র বিয়ে দিতে এবং অনশনরত স্কুলছাত্রীকে তাড়িয়ে দিতে নানানভাবে হয়রানি ও হুমকি দেন।

এ ঘটনায় অনশনে থাকার ১৩তম দিন ওই স্কুলছাত্রীর মা আদিতমারী থানায় তার মেয়েকে ধর্ষণ, ধর্ষণে সহায়তা ও হুমকির অভিযোগে প্রেমিক মিজান ও তার পরিবার এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের নামে মামলা করেন। মামলা গ্রহণ করে প্রেমিক মিজানের বাড়ি থেকে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। তবে অভিযুক্ত প্রেমিক মিজানসহ সব আসামি পলাতক রয়েছে।

অভিযুক্ত সাবেক চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন আলাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মিজানের সঙ্গে আমার খালাত বোনেরও প্রেমের সম্পর্ক ছিল। খালাত বোন বিয়ের দাবিতে অনশন করলে আমি গিয়ে সমাধান করে বিয়ে দিয়েছি। বিয়ের পরদিন থেকে ওই বাড়িতে আরও এক মেয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছে বলে শুনেছি। এ মামলায় অহেতুক আমাকে জড়ানো হয়েছে।

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, নির্যাতিতা মেয়ের মায়ের অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে অভিযুক্ত মিজানের বাড়ি থেকে মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
 

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ