আজকের শিরোনাম :

আশাশুনিতে দখলীকারকে উচ্ছেদে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৯:২৯

আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের শ্বেতপুরে বৈধভাবে রেজিষ্ট্রীকৃত জমির মিউটিশান ও চেক দাখিলা কেটে ছয় বছর শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে থাকা জমির মালিককে দখলচ্যুৎ করতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

 
বুধহাটা গ্রামের মৃত দেদার বক্স এর ছেলে মোহসেন আলী (মানিক) শ্বেতপুর গ্রামের মৃত রমজান আলী মোড়লের ছেলে রুহুল আমিনের কাছ থেকে তার মিউটিশান ৬৭২ ও ৬৭৯ নং খতিয়ানের ১.৯১ ও .৭৬ একর জমির মধ্য থেকে ১.৪২ একর জমি ক্রয় করেন। যার দলিল নং ২৫৯১, তাং ২৯/৮/১৭। সেই থেকে ক্রেতা জমিতে ভোগদখলে আছেন এবং ক্রয়কৃত জমি নিজের নামে মিউটিশান ও চলতি বছর পর্যন্ত চেক দাখিলা কেটেছেন। মিউটিশান খং ৭৯১ (নতুন), তাং ২৭/৯/১৭। অপরদিকে ভ্রমাত্বক বিআরএস খতিয়ান ১/১ সংশোধনের জন্য এলএস ৩৪৭/২১ কেস দাখিল করেছেন। জমি বিক্রেতা তার পিতার কাছ থেকে ১৬/১০/১১ তাং হেবার ঘোষণা দলিল ৩৪৩৫ এর মাধ্যমে ১.৯১ একর জমির মালিক হন। এবং মোহসেন হোসেনের কাছে জমি বিক্রয়ের পূর্বে তার বোন হামেদা বেগমের কাছে ২৬/২/১৪ তাং ৭৫৩ নং হেবা ঘোষণা দলিলে .৪৯ একর ও প্রতিবেশী রোকেয়ার কাছে ৮/৮/১৭ তাং ২৩৭৩ নং দলিলে .০৮ একর জমি বিক্রয় করেন। তারা তাদের স্ব স্ব নামে মিউটিশান করেছেন। এছাড়া দাতা তার স্ত্রী ছালেহা খাতুনের কাছে ২৯/৮/১৭ তাং ২৫৯২ নং দলিলে জমি হস্তান্তর করেন। হামেদা বেগম তার খরিদা .৪৯ একর জমি থেকে .৪১ একর জমি মহিউদ্দীন দিংকে ১৬/১০/১৭ তাং ৩০৯৬ নং দলিলে বিক্রয় করেছেন। 

হামেদা ৪টি দলিলের মধ্যে ৩টি দলিলকে বৈধ মেনে নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক কেবল মাত্র মোহসেন আলীর দলিলকে তঞ্চকি, ভূয়া ও অবৈধ প্রমান করতে যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালত সাতক্ষীরায় দেং ৭৫/২১ নং মামলা (তাং ১৪/১২/২১) করেন। বিবাদী ১৩/২/২৩ তাং বিজ্ঞ আদালতে জবাব দাখিল করেছেন। মামলা চলমান রয়েছে। মোহসেন আলী শান্তিপূর্ণভাবে তার জমিতে ভোগদখলিকার আছেন। মোহসেন আলী আক্ষেপ করে বলেন, ২০১৭ সালে জমি ক্রয় করেছি, একই দাতা ৪টি দলিল করেছেন, যার ক্রেতারা মিউটিশান ও চেক দাখিলা ও জমির দখল আছে। কিন্তু তার আগে ও পরের অন্য ৩টি দলিলের বেলায় প্রশ্ন না উঠালেও তার দলিলের বেলায় দাতার নাগরিকত্ব জালসহ নানা মিথ্যা অভিযোগ তুলে সংবাদ প্রকাশসহ মিথ্যা অভিযোগ করে চলেছে দাবী করে তিনি সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

তারপরও আদালতে মামলা চলমান। বিজ্ঞ আদালতই সঠিক রায় দেবেন। এতে তাদের লাভ হবেনা অনুধাবন করে, আমার বাড়ি থেকে মোটর, টিউবওয়েলসহ মূল্যবান মালামাল চুরির ঘটনা ও নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। মোহসেন আলী আরও বলেন, তিনি জমি বিক্রয় করতে জমিতে সাইনবোর্ড স্থাপন করেছেন। সাইনবোর্ড দেখে হামেদার স্বামী আনারুল ও তার সহযোগিরা চাঁদা দাবী করে, দিতে অস্বীকার করায় ভয়ভীতি ও হুমকী দিচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি ন্যায় সংগত ভাবে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
  
এবিএন/জি এম মুজিবুর রহমান/জসিম/তানভীর হাসান

এই বিভাগের আরো সংবাদ