সুনামগঞ্জে পৃথক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, দুইজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৬ | আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৭

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে মারপিট করে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে স্বামী মো রাসেল মিয়াকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত। স্বামী মো. রাসেল মিয়া জামালগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের সফিক মিয়ার ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জাকির হোসেন এ রায় দেন। আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের রেছনা বেগম এর মেয়ে মনমালা বেগমের বিয়ে হয় মো রাসেল মিয়ার সাথে। বিবাহের পরে আসামী মোঃ রাসেল মিয়া মহনমালাকে ঘর সংসার করতে থাকেন। ঘর-সংসার করাকালে প্রায়ই আসামী মোঃ রাসেল মিয়া স্ত্রীর নিকট যৌতুক দাবী করে তাকে নির্যাতন শুরু করে। এ নিয়ে স্ত্রী আদালতে একটি মামলাও দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর আসামী মোঃ রাসেল মিয়া আর যৌতুক দাবী করবে না ও নির্যাতন করবে না মর্মে অঙ্গীকার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামী যৌতুক দাবি করে আবারো নির্যাতন শুরু করে। গত ২৮.০৬.২০১৮ তারিখ ভিকটিম মহনমালাকে স্বামীর ঘর থেকে মৃত উদ্ধার করা হয়। ভিকটিমের গলায় ও ঠোঁটে জখমের চিহ্ন দেখা যায় এবং নাক দিয়ে রক্ত ও মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকে। পরে তার আত্মীয় স্বজন খবর পেয়ে বাড়িতে গেলে রাসেল পালিয়ে যায়। পরে মহনমালার মা বাদী হয়ে জামালগঞ্জ থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে স্বামী রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আদালত স্বামী মো রাসেল মিয়াকে মৃত্যুদন্ড দেন। এদিকে বিশ্বম্ভপুর উপজেলায় এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে পৃথক আরেকটি মামলায় আসামি খলিল আহমেদকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জাকির হোসেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর নান্টু রায়।
এবিএন/অরুন চক্রবর্তী/জসিম/গালিব
এই বিভাগের আরো সংবাদ