ধোবাউড়ায় শিশু গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে আটক ২

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৩, ১৯:০৪

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় এগারো বছরের শিশুকে গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দুজন ধর্ষক ও হত্যাকারীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

সোমবার (২০ মার্চ) ধোবাউড়া উপজেলাসহ আশপাশের এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো মো. ইউসুফ আলী (২০) ও অন্যজন ১৩ বছরের শিশু। ইউসুফ আলী ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর গ্রামের মো. ইস্রাফিল আলীর ছেলে। সকালে পুলিশ কনফারেন্স হলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাছুম আহাম্মদ ভূঞা সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্ধুর গ্রামের খোকান মিয়ার মেয়ে নুসরাত জাহান মীম (১১) গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় বাড়ী থেকে বের হয়ে রাত পর্যন্ত বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা খোঁজাখুজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী নেতাই নদীতে মীমের লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। ধোবাউড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ময়না তদন্তে মীমের যৌনাঙ্গ ও শরীরের স্পর্শকাতর অন্যান্য অঙ্গে ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত জখম ও জোড় পূর্বক গণধর্ষণের চিহ্ন পায়। এ ঘটনায় মীমের বাবা মো. খোকন মিয়া অজ্ঞাতনামা ধর্ষক ও হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ধোবাউড়া থানায় মামলা করেন। মীম ধোবাউড়া সোহাগীপাড়া নুরানী মাদ্রসায় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। এ ঘটনায় ধারাবাহিক অভিযানে ধর্ষক ইউসুফ আলী ও জড়িত একজন শিশুকে ধোবাউড়া থেকে আটক করা হয়। ধর্ষক ইউসুফকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় বয়সের ব্যবধান থাকলে আটককৃত শিশু তার ঘনিষ্ঠ সহচর।
 
ইউসুফ ও আটককৃত শিশু জানায়, পরিকল্পিতভাবে ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় থেকে মীমের বাড়ীর পাশে অন্ধকারে অপেক্ষায় থাকে। মীম বাড়ি থেকে বের হয়ে আসলে ইউসুফ ও তার সহচর শিশুটি মীমের মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক বড়ির পার্শ্ববর্তী কলা বাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে রাত পৌনে আটটার দিকে মীমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নেতাই নদীতে লাশ ভাসিয়ে দিয়ে ইউসুফ ও শিশুটি পালিয়ে যায়।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাছুম আহাম্মদ ভূঞা আরো জানান, আটকৃত দুইজনকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

এবিএন/মো: মঈন উদ্দিন রায়হান/জসিম/তানভীর হাসান

এই বিভাগের আরো সংবাদ