ধোবাউড়ায় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় নুসরাত জাহান ওরফে মীম (১০) নামে এক শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হত্যার পর নদীতে শিশুর মরদেহ ফেলে দেয় ঘাতকরা। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার কলসিন্দুরে গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এর আগে শনিবার (১৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কলসিন্দুর নিতাই নদী থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নুসরাত জাহান ওই এলাকার খোকন মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় সোহাগী সাইতুল কোরআন মাদ্রাসায় ৩য় শ্রেনীতে পড়াশুনা করতো।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শনিবার রাতে কলসিন্দুর গ্রামের খোকন মিয়ার কন্যা মিম আক্তারকে বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছিলনা। অনেক খোঁজাখোঁজির পর কলসিন্দুরে একটি ব্রীজ সংলগ্ন খালে মিমের লাশ পাওয়া যায়। পরে খবর পেয়ে ধোবাউড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে ধোবাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ টিপু সুলতান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে শিশুটিকে ধর্ষণ করার প্রমান মিলেছে। ওই মেয়েকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। প্রমাণ লুকাতে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলা হয়। 

তিনি আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এবিএন/মো: মঈন উদ্দিন রায়হান/জসিম/গালিব