আজকের শিরোনাম :

কন্টেইনারে মালয়েশিয়া যাওয়া সেই কিশোর বাড়ি ফিরেছে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৫৬

চট্টগ্রাম থেকে কন্টেইনারে করে মালয়েশিয়া চলে যাওয়া কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের প্রতিবন্ধী কিশোর মো. রাতুল ইসলাম ফাহিম অবশেষে বাড়িতে ফিরেছে।  

নিখোঁজ হওয়ার তিন মাস নয় দিন পর ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা তার বাবা-মাসহ স্বজনরা। 

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১২ বছর বয়সী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এই কিশোর পৌঁছায় বলে তার বাবা মো. ফারুক মিয়া সাংবাদিকদের জানান।

তবে কীভাবে সে কন্টেইনারে করে মালয়েশিয়া চলে গেছে, সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারছে না বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রাতুল। আর দ্রুত সময়ের মধ্যে ছেলেকে ফিরে পেয়ে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রাতুলের হতদরিদ্র বাবা-মা।

ফারুক মিয়া বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় রাতুল। রাতুলের সঙ্গে ছিলেন কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ হাইকমিশনের কল্যাণ সহকারী মোকছেদ আলী। তিনি ওইদিন রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে রাতুলকে হস্তান্তর করেন পরিবারের কাছে।

বুধবার সন্ধ্যায় রাতুল ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার সাতপুকুরিয়া গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন দিনমজুর ফারুক মিয়া।  

ফারুক মিয় কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় দিনমজুর ফারুকের তিন ছেলের মধ্যে রাতুল সবার বড়। 

ফারুক মিয়া জানিয়েছেন, গত বছরের ১৩ নভেম্বর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় রাতুল। পরবর্তীতে তারা গত ২০ জানুয়ারি রাতুলকে মালয়েশিয়ায় পাওয়ার খবর পান।

গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া ‘এমভি ইন্টেগ্রা’ জাহাজের একটি খালি কনটেইনার মালেশিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ১৬ জানুয়ারি মালেশিয়ার কেলাং বন্দরে জাহাজের একটি খালি কনটেইনারের ভেতর থেকে মানুষের শব্দ শুনতে পান নাবিকরা। এরপরই কেলাং বন্দর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান তারা। ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় জাহাজটি জেটিতে এনে কনটেইনার খুলে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তাকে রোহিঙ্গা বলে ধারণা করে সেখানকার সকলে। পরবর্তীতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও দেখে রাতুলকে শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ