তিস্তার চরে গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৪৮
বর্তমান মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নীলফামারীর ডিমলা তিস্তার চরে কৃষকদের মাঝে গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে। ফলে এ মৌসুমে ব্যাপক মুনাফার আশা করছেন কৃষকরা।
জানা গেছে, আগে এই অঞ্চলে প্রচুর তামাকের আবাদ হতো। এছাড়াও একটা সময় গমের চাষও করা হতো। কয়েক বছর আগে গমের ব্লাস্ট রোগের কারণে চাষিরা গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। বর্তমান আবার কৃষি অফিসের পরামর্শে কৃষকেরা গম চাষে ঝোঁকেন। তবে এই মৌসুমে গম চাষে বাম্পার ফলন হওয়ার আশা করছে তিস্তা পাড়ের চাষীরা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বছর আবারও গম চাষে ঝুঁকেছেন কৃষকরা।
ডিমলা উপজেলার টেপা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের চর খড়িবাড়ী এলাকার কৃষক বাক্কার আলী জানান, এবছর তিনি এক বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছেন। সাধারণত শীতে গমের ক্ষেত নষ্ট হলেও এবার তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ছাতনাই কলোনী এলাকার গম চাষি শহিদুল ইসলাম জানান, আগের কয়েক মৌসুমগুলোতে গমের রোগ (ব্লাস্ট ) হওয়ায় লোকসান হয়েছিল। এখন কৃষি অফিসের পরামর্শে আবারও গম চাষ শুরু করেছেন। গেলো বছর গমের আবাদ ভালো হওয়ায় এবারও গমের আবাদ করেছি। সবকিছু ঠিক থাকলে এই মৌসুমে গমের চাষে লাভের মুখ দেখবেন তারা। চাষি আজাহার আলী বলেন, এই বছর রোগের আক্রমণ না হওয়ায় ভালো ফলন ও মুনাফার আশা করছি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্র ২৩০ এর মধ্যে ২২০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী বলেন, ‘চলতি মৌসুমে এই অঞ্চলে ব্যাপকহারে গমের চাষ হয়েছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে এই মৌসুমে কৃষকদের গম চাষের প্রতি আগ্রহী করে তোলা হয়।’ এই উপজেলায় বিপুল পরিমাণ তামাক চাষ হয়ে থাকে। আমরা তামাকের বিকল্প ফসলে উৎপাদনে কৃষকদের অন্যান্য ফসল আবাদের জন্য সহায়তার পাশাপাশি উদ্বুদ্ধ করছি। ‘চলতি মৌসুমে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা অনেকগুণ বেড়েছে বলেও জানান তিনি।’
এবিএন/বাদশা সেকেন্দার ভুট্টো/জসিম/গালিব
এই বিভাগের আরো সংবাদ