আজকের শিরোনাম :

বিজিবি-বিএসএফ’র উদ্যোগে মৃত মায়ের মুখ দেখতে পেলেন ২ মেয়ে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:৫৬

বিজিবি-বিএসএফ’র মানবিক উদ্যোগে সীমান্তের শূন্য রেখায় সন্তানদের দেখানো হলো মায়ের মরদেহ। এসময় সেখানে একটি হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। শত শত নারী-পুরুষ সেখানে উপস্থিত থেকে চোখের জলে সিক্ত হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার হাটখোলা গ্রামের মৃত আবদার স্ত্রী ফজিলা খাতুন (৭০)। বার্ধক্য ও শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৬টার দিকে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। এদিকে ফজিলা খাতুনের দু’মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজন বাস করেন সীমান্তের এ পারে অর্থাৎ বাংলাদেশের দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুল্লা গ্রামে।

মৃত্যুর খবরে মাকে একবার শেষবারের মতো দেখার জন্য সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির কাছে আবেদন করে ফজিলার সন্তানরা। উদ্যোগ নেয় বিজিবি। বিএসএফকে বিষয়টি জানায়। বিএসএফও মানবিক উদ্যোগে সাড়া দেয়। এরপর শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টা থেকে সোয়া ৫টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধীনস্থ মুন্সীপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্তের মেইন পিলার ৯৩ এর কাছে সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণভাবে মরদেহ দেখানোর হয়।

চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি)ও পরিচালক লে. কর্নেল শাহ মো. ইশতিয়াক পিএসসি বলেন, ভারতীয় ভূখণ্ডে বসবাসরত মৃত্যুবরণকারী নাগরিককে বাংলাদেশে বসবাসকারী পরিবারের সদস্যদের শেষ দর্শনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে বিজিবি-বিএসএফ’র সমন্বয়ে মানবতামূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করে। সীমান্তে শান্তি, সম্প্রীতি এবং উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সু-সম্পর্ক উন্নয়নের অগ্রযাত্রার অংশ হিসেবে বিজিবি-বিএসএফ’র মানবতামূলক কার্যক্রম উভয় দেশের সীমান্তে বসবাসরত সীমান্তবর্তী জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক উন্নয়ন সাধিত হবে। ভবিষ্যতে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এছাড়াও উভয়ই সীমান্তে ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সীমান্ত অপরাধ হ্রাস পাবে বলে আশা করা যায়।’

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ