আজকের শিরোনাম :

নাসিরনগরে ব্রীজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে খাল পারাপার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:০৪

জেলার নাসিরনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নে একটি ব্রীজের জন্য ঝুঁকি নিয়ে খাল পারাপার হচ্ছে সদর ইউনিয়নের মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী সহ দাতমন্ডল ও কুলিকুন্ডা দুই গ্রামের হাজার  হাজার মানুষ। নাসিরনগর  উপজেলার সদর  ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা ঈদগাহ  সংলগ্ন নদীর উপর  কাঁদা পানির দূর্গম পথ পেড়িয়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যাতায়াত করে ওই দুই গ্রামবাসী।বর্ষা মৌসুমে চলে নৌকা,বর্ষার পানি কিছুটা কমে গেলে এলাকার নৌকার মাঝিরা মিলে তৈরী করে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো।বর্তমানে চলাচলের জন্য বাশেঁর সাকো পর্যন্ত নেই। কুলিকুন্ডা থেকে অর্ধ কিঃ মিঃ দূরত্ব দাঁতমন্ডল এরফানিয়া আলীম মাদ্রাসার প্রায় চার পাঁচ শত শিক্ষার্থী সহ হাজার হাজার লোকজন প্রতিদিন উক্ত খালের কাদা পানি দিয়ে  পারাপার হচ্ছে। যুগের পর যুগ এলাকাবাসীর ভোগান্তিহলেও দেখার যেন কেউ নেই। প্রতিটি  জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন এলেই জনপ্রতিনিধিরা এখানে  ব্রীজের নির্মানের আশ্বাস দেয়। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তীতে তা আর বাস্তবায়ন হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দাঁতমন্ডল এরফানিয়া আলীম মাদ্রাসার এক সিনিয়র শিক্ষক বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী বহু সরকার আসলেও দুটি গ্রামের খালের মধ্যবর্তী স্থানে আজও একটি ব্রীজ নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কেউ। আমাদের এলাকার বাসিন্দারা ও  তাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুল- মাদ্রাসায় আসা-যাওয়াসহ তাদের যাতায়াত করতে গিয়ে বাধ্য হয়ে  ঝুঁকি নিয়েই এ পথে যাতায়াত করে। শিক্ষা কিংবা জীবনের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ খাল  পারাপার হয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।

কুলিকুন্ডা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মনির খান বলেন, এ খাল দিয়ে এ অঞ্চলের  স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঝুঁকি নিয়ে পড়ালেখা করতে যায়। ফলে,সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অভিভাবকরা  থাকেন উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে দুই গ্রামের শত শত কৃষকের যাতায়াতের রাস্তাএটি।
এক ব্যাবসায়ীর বরাত দিয়ে একটি  সূত্র জানায় করোনার কারনে বিলম্ব হয়েছে, টেন্ডারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন। খুব শ্রীঘ্রই এখানে ব্রিজ নির্মান শুরু হবে।

কুলিকুন্ডা ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজম মৃধার সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, আগামী ৯ জানুয়ারী এখানে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরী করা হবে।

এবিএন/মোঃ আব্দুল হান্নান/জসিম/তানভীর হাসান 

এই বিভাগের আরো সংবাদ