আজকের শিরোনাম :

তিতাসে প্রতিমা রং তুলিতে ব্যস্ত শিল্পীরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:২৮

এ বছর তিতাস উজেলায় ১৪টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এবার দুর্গা মায়ের আগমন ঘটবে হাতিতে চরে আর যাবে নৌকায় চরে।

আগামী পহেলা অক্টোবর মহাষষ্ঠির মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় উৎসব (দুর্গাপূজা)। শেষ হবে পাঁচ অক্টোবর। এ উপলক্ষে তিতাস উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের কৃতি সন্তান কাতার প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হারাধন রায়ের বাড়িতে দিন-রাত প্রতিমা তৈরি এবং রংতুলিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। 

উপজেলার ১৪ টি মন্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ লনী বাবু। তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিমা তৈরি বা ক্রয় করতে অনেক ব্যয় বৃদ্ধি হওয়ায় বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। ব্যয় বাড়লেও থেমে নেই রকমারি আলোকসজ্জার।

বর্ণালী করে সাজানো হচ্ছে পূজা মন্ডপ। সব মিলে উৎসবের রংয়ে সাজছে উপজেলার প্রতিটি মন্ডপ। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে মাছিমপুর হারাধন রায়ের বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রতিমা তৈরি প্রায় শেষ, চলছে রংতুলির কাজ। এ সময় দেখা যায় কারিগরদের দম ফেলার সময় নেই। প্রতিমা তৈরির মূল কাজ শেষ করে তারা এখন রং তুলি কাজ করছেন কারিগর বা শিল্লপিরা।

কথা হয় শিল্পী সজিব পালের সাথে, জানতে চাওয়া হয় কয়টি প্রতিমার কাজ করেছন? সজিব পাল বলেন, আমার মালিক এ বছর কুমিল্লা জেলায় ২০টি প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছে, এর মধ্যে তিতাসে এইটা। আমাদের প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ, এখন রং তুলির কাজ করছি, আরও দুইদিন লাগবে রং তুলির কাজ শেষ হতে।

আপনাদের কেমন লাভ হবে, জানতে চাইলে সজিব পাল বলেন, আগে কাচা মালের দাম অনেক কম ছিল, এখন কাচা মালের দাম অনেক বেশী তাই আগের মতো সুবিধা নাই।
কি কি দিয়ে প্রতিমা তৈরি করেন? সজিব পাল বলেন কাদা মাটি, বাঁশ, খড় ও সুতলি দিয়ে দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরি করি আমরা।

শিশু শিল্পী যুব রাজ(১৬) বলেন, আমি কাজ শিখতেছি, এখন আমি শিবের রং তুলি করছি।

তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, তিতাসে ১৪টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা  সেই পরিমাণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যাতে করে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে সে দিকেও আমাদের বাড়তি নজর আছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ.টি.এম.মোর্শেদ বলেন, আমি ইতি মধ্যে উপজেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপ পরিশর্দন করেছি। আশা খুব শান্তিপূর্ণভাবেই  আমাদের তিতাস উপজেলায় শারদীয় দূর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

কাতার প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হারাধন রায় বলেন, দুষ্টের দমন আর সৃষ্টের পালনের জন্যই হিন্দু সম্প্রপ্রদায়ের মানুষ আমরা প্রতি বছর শারদীয় উৎসব হিসেবে দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছি।

এবিএন/কবির হোসেন/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ