আজকের শিরোনাম :

খানসামায় তন্ত্রমন্ত্রের ‘পাতা খেলা’ দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড়

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:১৪

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পল্লীতে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘পাতা খেলা’ সাপ দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। খেলা দেখতে ও উপভোগ করতে উপজেলার গোবিন্দপুরে চিমনিভাটা এলাকায় ভিড় করে দূর-দূরান্ত থেকে আসা শ’ শ’ নারী-পুরুষ দর্শনার্থী। গত ২৩ সেপ্টেম্ব^র শুক্রবার বিকালে হোসেনপুর যুব সংঘ ক্লাব এ ‘পাতা খেলা’র আয়োজন করে। এ খেলায় মাঠের চার কোণে সহযোগী তান্ত্রিকদের নিয়ে আসন গেড়ে বসেন। এরপর তান্ত্রিকেরা বিভিন্ন নিরগুন বা তন্ত্রমন্ত্রের বলে সাপকে তাদের কাছে টানতে থাকেন। এ খেলায় খানসামার জমিদারনগরের সাদেকুল ইসলাম চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এবং তুলশীপুরের আজাদ রানার্সআপ হন। উভয়দলকে উপহার হিসেবে দুটি ছাগল দেয়া হয়েছে। 

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, তন্ত্রমন্ত্রের এ ‘পাতা বা সাপ খেলাটি’ আদিবাংলার একটি গ্রামীণ সংস্কৃতি। আধুনিক যুগেও আদিবাসী তুড়ী সম্প্রদায়ের মানুষেরা ঐতিহ্যগতভাবে খেলাটি ধরে আছে। খেলা দেখতে আসা নতুন প্রজন্মের অনেকে জানিয়েছে তাদের অভিব্যক্তি। বিনোদন ও দর্শক প্রিয় এ খেলাটি কালের আবর্তনে যেন হারিয়ে না যায় এমনই প্রত্যাশা করেন দর্শক ও আয়োজকরা।

উল্লেখ্য, আবহমান বাংলার সংস্কৃতির সাথে মিশে আছে তুমড়ি বা পাতা খেলা। সনাতন হিন্দু ধর্মের পদ্মাদেবী তথা মনসা দেবীর অলৌকিক লীলা থেকে কালের বির্বতনে এ পাতা খেলার উৎপত্তি। মনসা দেবীর অলৌলিক লীলা সনাতন ধর্ম থেকে বাঙালীর সংস্কৃতিতে স্থান করে নিয়েছে। প্রতিবছরের শ্রাবণ-ভাদ্র মাসের তিথি সংক্রান্তীতে সনাতন হিন্দু-ধর্মাবলম্বীরা পদ্মাদেবীর তুষ্টির জন্য মনসা পূজা করে থাকেন। মনসা পুজার পরেরদিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্ত্রবাণের তুমড়ি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ওবায়দুর রহমান সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য শরিফুল ইসলাম প্রধান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান জুয়েল ও ইউপি সদস্য আফসেদুর রহমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। 

এবিএন/মো. রফিকুল ইসলাম/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ